নয়াদিল্লি: দ্রুত এগিয়ে আসছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগ (AI era)। প্রযুক্তির এই ব্যবহার মানুষের ব্যক্তিগত স্বত্তাকে পুরোপুরি বাজারজাত করে ফেলবে বলেই আশঙ্কা করছেন বিশ্বের বিভিন্ন আইন তৈরি ও নিয়ন্ত্রণকারী মানুষরা। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে দেশের বিভিন্ন বড় বড় তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলিকে (Big Tech ) তাদের তৈরি করা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার পণ্য (AI Products) বাজারে আনার আগে দায়বদ্ধ (responsible) হয়ে তারপর জনগণের মধ্যে চালু করার (make it public) নির্দেশ দিল ভারত সরকার।
কেন্দ্রের মনে হয়েছে, তাদের পণ্য বাজারজাত করার আগে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ওই পণ্যগুলো নিরাপদ (Safe) ও সুরক্ষিত (Secure) কিনা তা সুনিশ্চিত করার বিষয়টি সংস্থাগুলির মৌলিক দায়বদ্ধতা।
আমেরিকায় সেখানকার ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস ও হোয়াইট হাউসের সিনিয়র প্রশাসনিক আধিকারিকরা এই সপ্তাহেই সেখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার পণ্য তৈরি করছে এরকম সংস্থার সামনের সারিতে থাকা চারটি কোম্পানির সিইও-র সঙ্গে কথা বলেছেন। সেই সময় তারা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে থাকা ঝুঁকির বিষয়ে তাঁদের আশঙ্কার কথাও জানিয়েছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে না থাকলে বার্তা দিয়েছিলেন, তাদের পণ্য নিরাপদ ও সুরক্ষিত কিনা তা সুনিশ্চিত করার বিষয়টিতে সংস্থার মৌলিক দায়বদ্ধতা রয়েছে। তারা যেন সেটা মাথার রেখেই আবিষ্কার করে।
ভাইস প্রেসিডেন্ট হ্যারিস মাইক্রোসফট চেয়ারম্যান ও সিইও সত্য নাদেলা, আলফাবেট ও গুগল-এর সিইও সুন্দর পিচাই এবং ওপেনএআই (চ্যাটজিপিটি ফেম)-এর সিইও সাম আল্টম্যান-সহ বড় তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানির প্রধান কর্তাদের সঙ্গে কথা বলার সময় এটা স্পষ্ট করে দেন যেন বেসরকারি ক্ষেত্রের নৈতিক, মানবিক ও আইনি দায়বদ্ধতা রয়েছে তাদের পণ্যগুলি সুরক্ষিত ও নিরাপদ কিনা তা সুনিশ্চিত করা। আরও পড়ুন: Twitter: মাস্ককে হতাশ করে অর্থ খরচ করে টুইটার ব্লু সাবস্ক্রাইবাদের অর্ধেক আর রিনিউ করালেন না
Govts to #BigTech: Create responsible #AI first and then make it public
Read: https://t.co/Hc1jnJq9hl pic.twitter.com/RwiOkEPUP8
— IANS (@ians_india) May 6, 2023