ফেস অ্যাপের ক্ষমতা(Photo Credit : Twitter)

প্রযুক্তির ক্ষমতা নিয়ে আমরা কতই না বিস্মিত হই। তবে প্রযুক্তির এই মহান দান নিয়ে আমাদের তেমন কোনও হেলদোল নেই। তবুও আমরা প্রতিদিন প্রযুক্তির নয়া খেলে চমকিত হই। কোনওদিন একটি App আপনাকে প্রিয় নায়ক বা নায়িকার মতো সুন্দরী করে দিল। কোনওদিন বয়স বাড়িয়ে তিন কুড়ি পার করে দিল। একেবারে হিরো থেকে সোজা চুলে পাক ধরার ছবি, ভাবা যায়। মঙ্গলবার থেকে নিজের বয়স বাড়ানোর হিড়িক উঠেছে বিশ্বজুড়ে। আরও পড়ুন- Twitter: মেকওভার করে পুরো বদল যাচ্ছে টুইটার, দেখুন কেমন হচ্ছে

পাক ধরা চুল, একটু মেদ বেড়ে যাওয়া চেহারায় দু-তিন দশক বাদের নিজেকে দেখতে কেমন লাগে, বুড়ো হওয়ার রহস্য জেনে নিয়ে ভার্চুয়াল আয়নায় সেই আমিকে দেখে নেওয়ার হুড়োহুড়ি। একলাফে বয়সটা বেড়ে গেছে ৪০টা বছর। ফেসবুক, হোয়াটস্অ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম, ছেয়ে গেছে বুড়ো-বুড়িতে। টাইম ওয়ার্প? ইতিমধ্যে এই অ্যাপের ডাউনলোড সংখ্যা ৫ কোটি ছাড়িয়েছে। তবে সারা দুনিয়া যখন এই ফেসঅ্যাপে মেতেছে, তখন ভ্রূ-ও কুঁচকোচ্ছেন কেউ কেউ। এই অ্যাপ ব্যবহার করতে গেলে আপনার ফোনের ছবির অ্যকসেস একে দিতে হয়। সাইবার বিশেষজ্ঞদের শংকা, অ্যাপটি স্বয়ংক্রিয় ভাবে আপনার ক্যামেরায় আড়ি পাতছে না তো? কিংবা নিজেদের সার্ভারে আপনার ছবি জমিয়ে রাখছে না তো?

শুধু কি আপনার বন্ধু বা পরিচিত মানুষটা? জোয়ারে গা ভাসিয়েছে হলিউড, বলিউড থেকে ক্রীড়াজগৎ। নিক জোনাস ও প্রিয়ঙ্কার দুই দেওর, অভিনেতা অর্জুন কপূর, বরুণ ধওয়ন আছেন সেই তালিকায়। এক পা বাড়িয়ে টটেনহ্যাম হটস্পার, দল তথা ইংল্যান্ডের ফুটবল অধিনায়ক হ্যারি কেন-এর বয়সটাও বাড়িয়ে দিয়েছেন। কোনও কোনও ব্লগ নিজেরাই উদ্যোগ নিয়ে বুড়িয়ে দিয়েছেন বলিউডের মহাতারকা, ভারতীয় ক্রিকেট দলের সদস্যদের। বছর দুয়েক আগে একদল রুশ অ্যাপ নির্মাতা এই অ্যাপ বাজারে আনেন। ২০১৯ অ্যাপটির জনপ্রিয়তার পালে নতুন করে হাওয়ার লেগেছে। তবে শুধু বুড়ো হওয়া নয়, বয়স কমাতেও পারে এই ধন্যি অ্যাপ। পাল্টে দিতে পারে চুল-দাড়ির স্টাইল। বেজারমুখো হলেও আপনার মুখে হাসি ফোটাতে পারে।