Photo Credit: Adobe Stock

নয়াদিল্লি: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (Artificial intelligence) কুফল নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত (divided) হয়ে পড়েছেন বিশ্ববিখ্যাত সংস্থার প্রধানরা (Top business leaders)। সম্প্রতি আমেরিকার ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের (United States-based acclaimed Yale University) উদ্যোগে ১১৯টি সংস্থার প্রধানদের নিয়ে একটি সম্মেলনের (CEO Summit) আয়োজন করা হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে একটি সমীক্ষা (survey) চালানো হয়। সেই সমীক্ষায় মতামত জানানো ১১৯টি সংস্থার চিফ এগজিকিউটিভ অফিসারদের (CEO) মধ্যে ৪২ শতাংশ বিশ্বাস (believe) করেন যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মধ্যে এতটাই ক্ষমতা (potential) রয়েছে যার ফলে আগামী ৫ থেকে ১০ বছরের মধ্যে মানবতাকে (humanity) সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন (wipe out) করার করতে পারে।

আমেরিকার বিখ্যাত সংবাদ সংস্থা সিএনএন-এর তরফে সর্বপ্রথম এই সমীক্ষার (AI Impact On Humanity Survey) কথা তাদের প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, বর্তমান বিশ্বের ১১৯টি সফল সংস্থার প্রধানদের নিয়ে আয়োজিত ওই সম্মেলনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ফলে হওয়া প্রযুক্তিগত বিপ্লবের ভালো দিকের পাশাপাশি খারাপ দিকগুলো নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

এই সম্মেলনে ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জেফরি সোনেনফেল্ড কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রভাবে মানবতা নিশ্চিহ্ন হওয়ার ঘটনাকে এর অন্ধকার দিক ও আগামী প্রজন্মের জন্য চরম সতর্কবার্তা বলে উল্লেখ করেছেন।   তাঁর সঙ্গে সহমত পোষণ করেছেন ওয়ালমার্ট, জুম, কোকাকোলা, বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা এবং ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলির প্রধানরা।

সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ৩৪ শতাংশ সংস্থার সিইওরা জানান, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মধ্যে এতটাই ক্ষমতা রয়েছে যে এটির ব্যবহার আগামী ১০ বছরের ভেতরে মানবতাকে সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন করতে পারে। আর ৮ শতাংশ মনে করেন মাত্র ৫ বছরের মধ্যেই এই ঘটনা ঘটবে। তবে বাকি সংস্থার সিইওরা এই ধরনের বিষয় নিয়ে ভীত নয় বলেই জানিয়েছেন। আরও পড়ুন: US Government Agencies Hit by Cyberattack: চাঞ্চল্যকর! বিশ্বজুড়ে সাইবার হামলা আমেরিকার সরকারি সংস্থাগুলিতে