Virat Kohli. (Photo Credits: X)

IPL Final RCB vs PBKS: প্রথমবার আইপিএল জিততে শ্রেয়স আইয়ারদের করতে হবে ১৯১ রান। বিরাট কোহলিদের প্রথমবার আইপিএল জেতার সব দায়িত্ব এখন জোস হ্যাজেলউড, ভূবনেশ্বর কুমার, সূয়েশ শর্মাদের কাঁধে। আমেদাবাদের পাটা পিচে তেমন কিছুই করতে পারলেন না বিরাট কোহলিরা। বেঙ্গালুরুর বেশীরভাগ ব্য়াটাররা ২৪ থেকে ২৬ রানের মধ্য়ে আউট হলেন। সেট হয়ে আউট হওয়ার কারণেই কোহলিরা অন্তত ২০ রান কম করলেন। দিন দুয়েক আগে এই আমেদাবাদেই বুমারদের বিরুদ্ধে ২০৪ রান তাড়া করে জিতে ফাইনালে উঠেছিল শ্রেয়স আইয়ারের পঞ্জাব। অধিনায়ক শ্রেয়স ৪১ বলে ৮৭ রানের অবিশ্বাস্য অপরাজিত ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়েছিলেন। আজ সেই তুলনায় পঞ্জাবের চ্য়ালেঞ্জ কম। প্রথম ইনিংসের শেষে জেতার সম্ভাবনা এখন পঞ্জাবের ৫৫%, বেঙ্গালুরুর ৪৫%। এর কারণ আমেদাবাদের পাটা পিচ আর শ্রেয়স আইয়ারের ফর্ম।

অন্তত ১৫-২০ রান কম করলেন কোহলিরা

প্রথমবার আইপিএল জেতার সুযোগ। গোটা মাঠে নিজেদের দলের দর্শকে ঠাসা। মঙ্গলবার পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে আইপিএলের ফাইনালে এমন আবহে প্রথমে ব্য়াট করে তেমন বড় কিছু করতে পারলেন না বিরাট কোহলিরা। দলের সবাই শুরুটা দারুণ করেও বিপজ্জনক হয়ে ওঠার মুখে আউট হয়ে গেলেন। আরসিবি-র পক্ষে সর্বোচ্চ রান করা কোহলি ৪৩ রান করতে নিয়ে নিলেন ৩৫টি বল। আবার জিতেশ শর্মা  মাত্র ১০ বলের ইনিংসে ২টি ওভার বাউন্ডারি, ২টি বাউন্ডারি মেরে যখন দলের রানকে ধরাছোঁয়ার বাইরে নিয়ে যাচ্ছিলেন, তখনই আউট হয়ে গেলেন। তবে শুধু জিতেশ কেন, ওপেনার ফিল সল্ট (৯ বলে ১৬) থেকে অধিনায়ক রজত পাতিদার (১৬ বলে ২৬) থেকে তিনে নামা মায়াঙ্ক আগারওয়াল (১৮ বলে ২৪), লিয়াম লিভিংস্টোন (১৫ বলে ২৫)-রা শুরুটা ভাল করে সেটা কাজে লাগাতে পারলেন না।

আরসিবি করল ১৯০ রান

কোহলি দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করলেও ধীরগতির ইনিংস খেললেন

বিরাট কোহলি বেশ সাবধানী ইনিংস খেললেন। কোহলির ৩৫ বলে ৪৩ রানের ইনিংসে মাত্র ৩টি বাউন্ডারি, কোনও ছক্কা নেই। এবারের আইপিএল যেভাবে প্রায় সব ম্য়াচেই রানের বন্য়া হয়েছে, চার-ছক্কার সুনামি হয়েছে, তার পাশে ফাইনালে কোহলির এদিনের ইনিংসটা অনেকটা ধীরগতির। আমেদাবাদে ফাইনালের কোহলির ইনিংস দেখে একজন কটাক্ষ করে পোস্ট করলেন, আমি ভেবেছিলাম কোহলি টেস্ট থেকে অবসর নিয়ে নিয়েছে। শুরুটা বেশ ভালই করেছিলেন আরসিবি-র ব্রিটিশ ওপেনার ফিল সল্ট। সদ্যোজাত সন্তানকে দেশ থেকে এদিন সকালে ফিরেই ফাইনালে নেমে পড়ে সল্ট এদিন একটা ছক্কা, ২টি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে বিপজ্জনক হওয়ার মুখে পঞ্জাবের কিউই পেসার কিইলি জেমিসনের বলে আউট হয়ে যান। তিনে নেমে মায়াঙ্ক আগরওয়াল (১৮ বলে ২৪)-ও পিচে জমিয়ে বসার আগেই যুজবেন্দ্র চাহালের বাল ডেলিভারিতে প্যাভিলিয়নে ফেরেন।

পতিদার ২৬, লিভিংস্টোন ২৫, জিতেশ ২৪

অধিনায়ক রজত পাতিদার (১৬ বলে ২৬)-ও বিপজ্জনক হওয়ার মুখে উইকেট ছুড়ে আসেন। কোহলি যখন রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টা করছেন, তখনই আফগান পেসার আঝমাতুল্লা ওমরঝাইয়ের বলে আউট হয়ে ফিরে যান। কোহলির ফেরার পর জিতেশ শর্মা অবিশ্বাস্য কিছু শট খেলে দলের রানের গতি বাড়ান। অন্য প্রান্তে কিছু ভাল শট খেলছিলেন লিয়াম লিভিংস্টোন (১৫ বলে)।