২০২৩ সালের ১৩ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে হকিপ্রেমীদের স্বাগত জানাবে ভারত। টানা দ্বিতীয়বারের মতো এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে যাচ্ছে ভারত। ২০১৮ সালের বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়েছিল ভুবনেশ্বরে, যেখানে বেলজিয়াম শিরোপা জিতেছিল, নেদারল্যান্ডস রানার্স-আপ হয়েছিল এবং অস্ট্রেলিয়া ব্রোঞ্জ জিতেছিল। ২০২৩ সালের আসরে ১৬টি দল অংশ নেবে। প্রতিটি গ্রুপের বিজয়ী সরাসরি কোয়ার্টার ফাইনালে উঠবে এবং প্রতিটি গ্রুপের দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানাধিকারী দল ক্রসওভার রাউন্ড খেলবে এবং বিজয়ী কোয়ার্টারে যাবে। এফআইএচ পুরুষ হকি বিশ্বকাপের আসর শুরু হতে আর মাত্র এক দিন বাকি। India vs Spain, Hockey World Cup 2023 Live Streaming in India: ভারত বনাম স্পেন, হকি বিশ্বকাপ ২০২৩, জেনে নিন কোথায়, কখন, সরাসরি দেখবেন খেলা (ভারতীয় সময় অনুসারে)
এফআইএচ বিশ্বকাপের আগে ভারতীয় হকি দলের বিশ্লেষণ এখানে দেওয়া হল
সুযোগ
এই বিশ্বকাপ ভারতের পদক খরার অবসানের সবচেয়ে বড় সুযোগ। স্পেন, ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের সঙ্গে 'ডি' গ্রুপে থাকা ভারত ১৩ জানুয়ারি স্পেনের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করবে। ভারতীয় দলের প্রস্তুতি ম্যাচ করার ভাল সুযোগ তৈরি করছে। সম্প্রতি প্রো লিগে স্প্যানিয়ার্ডদের থেকে ভারত এগিয়ে থাকলেও বিশ্বকাপে ভাল কিছু করার প্রেরণা রয়েছে যদিও স্পেনও প্রথম ম্যাচ জেতার জন্য মুখিয়ে থাকবে। ভারতের লক্ষ্য হবে গ্রুপ শীর্ষে থেকে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠা। চার দলের গ্রুপে দ্বিতীয় বা তৃতীয় হলে দলটিকে ক্রস ওভারের ম্যাচে যেতে হবে, যা তাদের সম্ভাবনাকে কিছুটা কম করতে পারে। ফলে সরাসরি কোয়ার্টারে জায়গা পাকা করতে হলে ভারতকে নিজেদের ছন্দে থাকতে হবে এবং প্রাথমিক লিগের সব ম্যাচ জিততে হবে।
শক্তি
ঘরের মাঠে খেলার সুবিধায় ভারতীয় খেলোয়াড়রা তাদের দিনে যে কোনও দলের জন্য দুর্ধর্ষ প্রতিপক্ষ হবে। কলিঙ্গ স্টেডিয়ামের সঙ্গে তাদের যথেষ্ট পরিচয় রয়েছে এবং রাউরকেলার বিরসা মুণ্ডা স্টেডিয়াম নতুন হলেও এই মুহূর্তে তাঁরা রাউরকেলায় ক্যাম্প করছেন, সুতরাং সেখানকার কন্ডিশনের আভাস পাচ্ছেন। কোচ গ্রাহাম রিড (Graham Reid) গত দু'বছরে দলে একগুচ্ছ অভিজ্ঞ খেলোয়াড়কে নিয়ে এসেছেন। দলের মূল শক্তি হল, প্রাক্তন অধিনায়ক মনপ্রীত সিং (Manpreet Singh) যিনি ৩১৪ টি ম্যাচ খেলেছেন, এবং গোলরক্ষক পি আর শ্রীজেশ (P.R. Sreejesh) ২৭৪ টি ম্যাচ খেলেছেন। বিশ্বমানের ড্র্যাগ ফ্লিকার হরমনপ্রীত সিংহ (Harmanpreet Singh) দলে রয়েছেন, যিনি সাম্প্রতিক সাফল্যের জন্য এফআইএইচ-এর বর্ষসেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন।
সতর্কতা
ফুটবলাররা তরুণ ও উচ্চাকাঙ্ক্ষী। তারা ভালো প্রস্তুতি নিয়েছে এবং মাঠে নামার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। প্রতিপক্ষ যথেষ্ট শক্তিশালী এবং কোনো প্রতিপক্ষকেই হালকাভাবে নেওয়া যায় না। শিরোপা জয়ের মধ্য দিয়ে অমরত্ব অর্জনের দারুণ সুযোগ ফুটবলারদের সামনে। কিন্তু কাজটা কঠিন। যদি ঘরের মাঠে এবং বিশাল দর্শকের বিশাল প্রত্যাশাও বিপরীতমুখী হতে পারে, খেলোয়াড়রা চাপে পড়ে যেতে পারেন যা তাদের খেলাকে প্রভাবিত করতে পারে। দলের রক্ষণ কিছুটা সন্দিহান এবং ভারতীয় দল অবিশ্রান্ত চাপের কাছে নতিস্বীকার করে, যার ফলে ভারতের শেষ মুহূর্তে গোল হজম করার প্রবণতা রয়েছে। হরমনপ্রীত সিংহ দুর্দান্ত ড্র্যাগ ফ্লিকার হলেও অমিত রোহিদাস (Amit Rohidas), বরুণ কুমারের(Varun Kumar) মতো অন্য পেনাল্টি কর্নার বিশেষজ্ঞরা অতটা ধারাবাহিক নন। হরমনপ্রীত ভালো না করতে পারলে ভারতের সমস্যা হতে পারে। দলের আক্রমণাত্মক খেলার ধরনই এর শক্তি, কিন্তু খেলোয়াড়রা চাপের মুখে আকার হারিয়ে ফেলে এবং গোল হজম করে।