এদিন দুপুর থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় এক ভিডিয়ো দাপিয়ে বেরাচ্ছে। ভিডিয়োটিতে দেখা যাচ্ছে, এক সমর্থক পাকিস্তানের পেসার হ্যারিস রউফ (Haris Rauf)-কে উত্তেজিতভাবে কিছু বলছেন। আর সেটা শুনে মেজাজ হারিয়ে সমর্থককে মারতে ছুটছেন রউফ। চলতি টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্ব থেকে ভারত ও আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে হতাশার হারের ফলে বিদায় নিতে হয়েছে পাকিস্তানকে। আর গোটা পাকিস্তান বাবর আজমদের নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়ছে। সেই ক্ষোভের আঁচ চলতি টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাক দলের সদস্য হ্যারিস রউফের গায়ে গিয়ে পড়ে।
পাকিস্তানের তারকা পেসার হ্যারিস রউফ-কে দেখতে পেয়ে এক সমর্থক তাদের খারাপ পারফরম্যান্সকে নিয়ে কটুক্তি করেন। সেটা শুনতে পেয়ে হ্যারিস মেজাজ হারিয়ে তেড়ে মারতে যান সেই ব্যক্তিকে। পরিস্থিতি খারাপ বুঝতে পেরে হ্যারিসের স্ত্রী মরিয়া চেষ্টা করেন তাঁকে বাধা দেওয়ার। নাছোড়বান্দা হ্যারিস তার স্ত্রী-র বাধা পেরিয়ে সমর্থককে মারতে গিয়ে বলেন, "তুমি নিশ্চই কোনও ভারতীয়।" যেটা শুনে কটুক্তি করা সেই ব্যক্তি বলে,"না ভাই, আমি পাকিস্তানী। আর তাই তোমাদের পারফরম্যান্স দেখে লজ্জা পেয়ে এসব বলছি।" শেষ মুহূর্তে এসে নিরাপত্তরক্ষীরা সামলান রউফ-কে।
দেখুন সেই ভাইরাল ভিডিয়ো
Haris Rauf Fight
His wife tried to stop her.
Haris- Ye indian ho hoga
Guy- Pakistani hu @GaurangBhardwa1 pic.twitter.com/kGzvotDeiA
— Maghdhira (@bsushant__) June 18, 2024
এই ভিডিয়ো দেখে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ার পর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট করে সাফাই গাইলেন হ্যারিস। পাকিস্তানের তারকা পেসার সেই পোস্টে লিখলেন, সব রকমের সমালোচনা তিনি মাথা পেতে নেবেন। কিন্তু তাঁর বাবা-মা বা পরিবারের সদস্যদের ওপর কটুক্তি করা হলে আমি জবাব দিতে পিছিয়ে আসবো না।"
দেখুন রউফের জবাব
— Haris Rauf (@HarisRauf14) June 18, 2024
সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট রউফ লিখলেন, "এই ইস্য়ুটা আমি সোশ্যাল মিডিয়ায় না আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু যখন ভিডিয়োটা সবাই দেখেই ফেলেছেন, তাই আমার মনে হল এই বিষয়ে আমার মত দিই। লোকে ক্রিকেটারদের ভালবাসে, আমি পাবলিক ফিগার, আমাদের মানুষের থেকে ভালবাসা, সমালোচনা সবটা নিতে হবে। ওঁদের অধিকার আছে আমাদের সমর্থন বা সমালোচনা করার। কিন্তু যখন দেখি আমার মা-বাবা, পরিবারের সদস্যদের ওপর আক্রমণ হচ্ছে, তখন আমি চুপ থাকব না, আমি জবাব দেবো। খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, যে পেশার তিনি হোন না কেন প্রত্য়েকের উচিত মানুষ ও তাদের পরিবারকে সম্মান দেওয়া।