তেহরান: আমেরিকার (United States) কাছে ম্যাচ হেরে (loss) ২০২২ সালের কাতার বিশ্বকাপ (World Cup) প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে গেছিল ইরান (Iran)। এরপরই দেশের হিজাব বিরোধীদের সমর্থন জানিয়ে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়ার ঘটনায় উৎসব পালন (celebrating) করেছিলেন ইরানের এক সমাজসেবী (Social Activist) মেহরান সামাক (Mehran Samak)। এর জেরে তাঁকে গুলি (shot) করে হত্যা করল ইরানের নিরাপত্তা বাহিনী (Iran's security forces)। এই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসার পরেই নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে ইরানের জনমানসে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার আমেরিকার কাছে হেরে কাতার বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতা (FIFA World Cup 2022) থেকে ছিটকে যায় ইরান। দেশের হিজাব বিরোধীদের নৈতিক সমর্থন জানিয়ে সেসময় ক্যাস্পিয়ান সাগরের উপকূলে (Caspian Sea coast) অবস্থিত বান্দার আঞ্জিল (Bandar Anzali) শহরের একটি রাস্তায় নিজের গাড়ির হর্ন বাজিয়ে তা উদযাপন করছিলেন ২৭ বছর বয়সী ইরানের এক সমাজসেবী মেহরান সামাক। ইরানের নীতি পুলিশের হাতে মাসা আমিনির নির্মম হত্যার প্রতিবাদ জানাচ্ছিলেন। সেসময় তাঁকে গুলি করে হত্যা করে ইরানের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। তাঁকে পয়েন্ট ব্ল্যাক রেঞ্জ (point-blank range) থেকে গুলি করে হত্যা করা হয়। আরও পড়ুন : FIFA World Cup 2022: আধিপত্য বজায় রেখে শেষ ষোলোয় আর্জেন্টিনা, ম্যাচ হেরেও গোল পার্থক্যে পরের রাউন্ডে পোল্যান্ড
ওসলাতে (Oslo) থাকা ইরান মানব অধিকার (Iran Human Rights) সংগঠন থেকে জানানো হয়, ৩০ নভেম্বর সামাককে টার্গেট করে সোজাসুজি তাঁর মাথায় গুলি করে মারা হয়। তিনি আমেরিকার কাছে ইরানের হারে উৎসব পালন করছিলেন বলেই এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড চালায় শাসকের পেটোয়া নিরাপত্তারক্ষীরা। সামাককে হত্যা করার কথা স্বীকার করে করে বিবৃতি প্রকাশ করা হয়ে আমেরিকায় অবস্থিত নিউইয়র্কের (New York) সেন্টার ফর হিউমান রাইটস ইন ইরান (Center for Human Rights in Iran)। যদিও এখনও পর্যন্ত ইরানের সরকারের তরফে সামাকের মৃত্যুর বিষয়ে কোনও সরকারি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়নি।
এদিকে এই ঘটনার কয়েক ঘণ্টা বাদে ইরানের আন্তর্জাতিক মিডফিল্ডার (Iranian international midfielder) সাহিদ ইজাটোলাহি (Saeed Ezatolahi) সামাকের সঙ্গে নিজের একটি পুরনো ছবি ইনস্ট্রাগামে (Instagram) শেয়ার করে লিখেছেন, "আমি ও সামাক একসময় ইরানের যুব ফুটবল দলের (youth football team) হয়ে আমেরিকার বিরুদ্ধে খেলেছিলাম। সেইসব দিনের কথা মনে করে মন ভারাক্রান্ত হয়ে পড়ছে। ইরানের নিরাপত্তারক্ষীদের হাতে তাঁর এইভাবে নির্মম মৃত্যু আমি কোনওভাবেই মেনে নিতে পারছি না।"