East Bengal Coach Carles Cuadrat (Photo Credit: @RGL_2022/ X)

মঙ্গলবার বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ইন্ডিয়ান সুপার লিগে (আইএসএল) মুম্বই সিটি এফসির বিরুদ্ধে হারের পরে ইস্টবেঙ্গল এফসির (East Bengal FC) হেড কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত (Carles Cuadrat) মূল খেলোয়াড়দের অনুপস্থিতির কথা তুলে ধরেন। কলকাতা ডার্বিতে চোটের কারণে সাউল ক্রেসপোর অনুপস্থিতি এবং আগের ম্যাচে চোট পাওয়ার পরে মুম্বই সিটি এফসির বিরুদ্ধে জোসে পার্ডো ছিটকে যাওয়া, ইস্টবেঙ্গল এফসির পক্ষে একটি গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ ছিল। উপরন্তু, তাদের মরসুমের শীর্ষ গোলদাতা ক্লিটন সিলভা সাসপেনশনের কারণে মাঠে অনুপস্থিত ছিলেন। কুয়াদ্রাত তার মূল বিদেশী খেলোয়াড়দের অনুপস্থিতর বিষয়টি স্বীকার করে বলেছেন ক্লাবের বর্তমান পরিস্থিতি কলিঙ্গ সুপার কাপের তাদের বিজয়ী অভিযান থেকে আলাদা। ম্যাচের পর কুয়াদ্রাত বলেন,'(এই কঠিন পরিস্থিতিতে) প্রচেষ্টার জন্য আমি আমার খেলোয়াড়দের সত্যিই প্রশংসা করি এবং আমি সত্যিই ক্লাবের প্রশংসা করি। তারা পরিস্থিতি বোঝেন। তারা আমাকে অনেক সাপোর্ট করেছে। (ভবিষ্যতের জন্য) কিছু খেলোয়াড় আনার জন্যও তারা কাজ করছে। আমরা সঠিক পথেই কাজ করছি। আমি মনে করি ১০ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো একটি রোডম্যাপ রয়েছে।' Mohun Bagan SG: মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট থেকে বাদ হুগো বুমোস, দলে জনি কাউকো

গতকাল কলকাতায় আইএসএল ২০২৩-২৪ এর ম্যাচে মুম্বই সিটি এফসির কাছে ১-০ গোলে হেরেছে ইস্টবেঙ্গল। সুপার কাপ চ্যাম্পিয়ন ইস্টবেঙ্গল তাদের আগের ম্যাচে নর্থইস্ট ইউনাইটেড এফসির বিরুদ্ধে হারের মুখ দেখেই মাঠে নেমেছিল। তাদের প্রতিপক্ষ মুম্বই সিটি এফসি তাদের আগের ম্যাচে জামশেদপুর এফসির কাছে হেরেছিল। কার্লেস কুয়াদ্রাত মাত্র দু'জন বিদেশি এবং নয়জন ভারতীয়কে নিয়ে খেলা শুরু করেন। মুম্বই সিটি এফসি তাদের কোটায় চার বিদেশিকে মাঠে নামিয়েছিল কিন্তু সাসপেনশনের কারণে জর্জ পেরেরিয়া দিয়াজ বাদ পড়েন। ২৪ মিনিটে মুম্বাই সিটি এফসির হয়ে গোল করেন ইকার গুয়ারোটক্সেনা। আলবার্তো নোগুয়েরার পাস ধরে অফসাইডের ফাঁদ পেরিয়ে বল জালে জড়ান ইকার।

এর আগে ইস্টবেঙ্গল ১১ ম্যাচ অপরাজিত ছিল এবং নর্থইস্ট ইউনাইটেড এফসির বিরুদ্ধে আগের ম্যাচে হেরে যাওয়ার আগে এই ১১ টি ম্যাচের মধ্যে সুপার কাপও শিরোপাও রয়েছে। সাউল ক্রেসপোর চোট নিয়ে ডার্বিতে গুরুতর সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। তাদের আগের ম্যাচে, তারা মাত্র তিনজন বিদেশী মাঠে নামতে পেরেছিল এবং তারপরে তারা সেই ম্যাচেও ভুগছিল হোসে পার্ডো চোট নিয়ে। কার্লেস কুয়াদ্রাত একাদশে কেবল দুজন বিদেশিকে মাঠে নামাতে পেরেছিলেন, একইসঙ্গে নন্দকুমার এবং লালচুংনুঙ্গার মতো শীর্ষস্থানীয় ভারতীয় খেলোয়াড়দেরও বিশ্রাম দিতে হয় যার ফলে লাল-হলুদ ব্রিগেডের লাইনআপে গতকাল বেঞ্চের শক্তির অভাব স্পষ্ট দেখা গেছে।