রবার্ট লেবানডস্কি (Photo Credits: Twitter/@BayernMunich)

২০২০-তে ফিফার বর্ষসেরা ফুটবলার হলেন রবার্ট লেবানডস্কি (Robert Lewandowski)। গত এক দশক ধরে এই পুরস্কার ভাগাভাগি করে এসেছেন মেসি-রোনাল্ডো। ব্যালড ডি’ওর পুরস্কারের ক্ষেত্রেও দু’জনে দাপট দেখিয়েছেন। ব্যতিক্রম শুধু ২০১৮ সালে, যখন লুকা মদরিচ জিতেছিলেন সেরার সম্মান। এ বার লেবানডস্কিও মেসি-রোনাল্ডোর সাম্রাজ্যে হানা দিলেন। বায়ার্নের হয়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের জেরে বাকিদের ছাপিয়ে গেলেন তিনি। এমনিতেই করোনাকালে সংক্রমণ এড়াতে সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিংয়ের তাড়ণায় সেভাবে ম্যাচ কেউ মাঠে গিয়ে দেখতে পারেননি। তারপর বর্ষশেষে দুই সেলেব তারকার হাত থেকে পুরস্কার ছিনিয়ে নিয়ে গেলেন রবার্ট লেবানডস্কি। স্বভাবতই মুষড়ে পড়েছেন মেসি রোনাল্ডোর ভক্তরা। গত মরশুমের সর্বাধিক গোলদাতা রবার্ট লেবানডস্কি। বায়ার্নের জার্সিতে বুন্দেশলিগা, ডিএফবি পোকাল, উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন তিনি।

এনিয়ে বুন্দেশলিগায় পরপর তিনবার সর্বোচ্চ গোলদাতা রবার্ট লেবানডস্কি। বায়ার্নের জার্সি গায়ে দেওয়ার পর থেকেই যেন এই পোলিশ তারকা আরও বেশি বেশি পায়ের জাদু দেখিয়ে চলেছেন। ফুটবল যাঁদের ধ্যান জ্ঞান এতক্ষণে তাঁদের মোবাইলের স্ক্রিন সেভারে মেসি রোনাল্ডো নন, জ্বল জ্বল করছেন রবার্ট লেবানডস্কি। ডিএফবি কাপেও পরপর চারবার তিনি সর্বোচ্চ গোলদাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ। ১৯৯১ সাল থেকে বর্ষসেরার পুরস্কার চালু করেছে ফিফা। প্রায় তিন দশকের খড়া কাটিয়ে এই প্রথম বায়ার্ন মিউনিখের কোনও ফুটবলার সেই বর্ষসেরার খেতাব জিতে নিলেন। বর্ষসেরা ফুটবলার বাছার ক্ষেত্রে যে শীর্ষ তালিকা হয়েছিল। সেখানে ছিল তিনজনের নাম। মেসি রোনাল্ডো সেই তালিকাতে থাকলেও রবার্ট লেবানডস্কির ক্যারিশ্মায় ছিটকে গেলেন তাঁরা। মেসি রোনাল্ডোর একাধিপত্যে থাবা বসিয়ে রবার্ট লেবানডস্কি যেন বলতে চাইলেন, আর নয় এসে গেছে নতুন প্রজন্ম।

মেসি রোনাল্ডোর খ্যাতির তালিকা দেখতে হলে কাকে ছেড়ে কাকে দেখবেন, এমন পরিস্থিতি এসে যাবে। রোনাল্ডো সিরি আ জয়ী জুভেন্টাসের সদস্য। কোপা ইটালিয়ায় তিনি রানার-আপ। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ১৬-য় উঠেছিল তাঁর দল। সিরি আ-তে তিনি দ্বিতীয় সর্বাধিক গোলদাতা। প্রিমিয়ার লিগ, লা লিগা ও সিরি আ-তে প্রথম ফুটবলার হিসেবে ৫০ গোলের রেকর্ড রয়েছে তাঁর। ২০১৯-২০ মরসুমে জুভেন্টাসের হয়ে করেছেন ৩৭ গোল। যা ক্লাবের হয়ে রেকর্ড। ইউরোপের প্রথম ফুটবলার হিসেবে পৌঁছেছেন ১০০ আন্তর্জাতিক গোলে।লা লিগায় টানা সপ্তম বার টপ স্কোরার হয়েছেন। যা রেকর্ড। লা-লিগায় গত বার রানার্স হয়েছে তাঁর দল বার্সেলোনা। কেরিয়ারে ৭০০ গোল হয়ে গিয়েছে তাঁর। এক মরসুমে ২১ অ্যাসিস্ট করেছেন তিনি। আর্জেন্টিনার কেউ এর আগে লরিয়ুস বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদ হননি। কোনও ফুটবলারও মেসির আগে এই সম্মান পাননি।