Divya Deshmukh: দাবায় দেশের প্রথম মহিলা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেয়ে গেল ভারত (Chess World Champion)। বিশ্বনাথন আনন্দ ( Viswanathan Anand), ডি গুকেশ (D Gukesh)-দের পর এবার ৬৪ খোপের খেলা প্রথম মহিলা হিসাবে বিশ্বসেরা হলেন ভারতের দিব্য়া দেশমুখ। ফাইনালে নিজের পছন্দের দাবাড়ু কনেরু হাম্পি (Koneru Humpy)-কে টাইব্রেকারে ২.৫-১.৫ হারিয়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হলেন ১৯ বছরের দিব্য়া। নাগপুরের দাবাড়ুর এই বিশ্বজয়ের গল্পটা রূপকথার যে কম কিছু নয়। দাবা বিশ্বকাপে বেশিরভাগ খেলোয়াড়ই হন গ্র্যান্ডমাস্টার। কিন্তু দিব্য়ার ক্ষেত্রে হল উল্টোটা। দিব্যা বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর, দেশের ৮৮তম গ্র্যান্ডমাস্টার হওয়ার নজির গড়লেন। সবচেয়ে কম বয়েসে মহিলাদের বিশ্বকাপ দাবায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার নজিরও গড়লেন দিব্যা।
বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর কেঁদে ফেললেন দিব্যা
19-year-old Divya Deshmukh is in tears after winning the 2025 FIDE Women's World Cup! pic.twitter.com/DuFYH0bqT5
— chess24 (@chess24com) July 28, 2025
এক নজরে দেখে নিন বিশ্বজয়ী দিব্যা দেশমুখকে নিয়ে অজানা কথা--
১) শাটলার থেকে দাবাড়ু
প্রথম ভালবাসা ছিল ব্যাডমিন্টন। সাইন নেহওয়াল, পিভি সিন্ধুদের মত শাটলার হতে চেয়েছিলেন। ওর দিদি ব্যাডমিন্টন খেললেও কিন্তু তাঁর উচ্চতা কম থাকার জন্য ৪ বছর বয়সে ব্য়াডমিন্টন নিয়ে তাকে হতাশ হতে হয়েছিল। উচ্চতাগত সমস্যায় ব্য়াডমিন্টন থেকে সরে আসার পর ও মন দেয় দাবায়। দাবা খেলাটাই হয়ে যায় তার সব কিছু। শাটলার না হওয়ার আক্ষেপটা দাবায় বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়ে নিলেন দিব্যা।
২) পাঁচ বছর বয়েসে প্রথম ট্রফি জয়
পাঁচ বছর বয়েসে দাবায় প্রথম ট্রফি জিতেছিলেন। বাবা জীতেন্দ্র দেশমুখের থেকে দাবা শিখে, ভালবাসা তৈরি হয়। ৭ বছর বয়সে একবার এমন এক চাল দিয়েছিল ছোট্ট দিব্যা, মহারাষ্ট্রের এক দাবার কোচ বলেছিলেন, এই মেয়ে অনেক দূর যাবে। সেইটা যে এভাবে সত্য়ি হবে কে ভেবেছিল। দাবায় ভারতকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ৩৮ বার প্রতিনিধিত্ব করে, আন্তর্জাতিক আসরে সোনা জিতলেও কেউ তাঁর স্পন্সর হিসাবে এগিয়ে আসেনি। তার বাবা নিজেই মেয়ের প্রশিক্ষণ, দেশে-বিদেশ যাতায়াতের খরচ ওঠাতেন।
৩) আঁকা থেকে ফুলপ্রেম, কুকুরপ্রেমী
ছোটবেলা থেকে আঁকতে ভালবাসেন। তিরন্দাজি খেলাটা খুব পছন্দ করেন। আর ভালবাসেন ফুলের গাছ নিয়ে সময় কাটাতে। কুকুরপ্রেমী দিব্যাকে সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কয়েকটি পোস্টে তার পোষ্যের সঙ্গে দেখা গিয়েছে।
৪) আদর্শ আনন্দ, আনন্দে কান্না
কিংবদন্তি দাবাড়ু বিশ্বনাথন আনন্দকে নিজের আদর্শ হিসাবে মেনে চলেন দিব্যা। শুধু আনন্দের সঙ্গে দেখা করবেন বলে বাবার কাছে কান্না পর্যন্ত জুড়েছিল ছোট্ট দিব্যা।
৫) অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন
এখনও পর্যন্ত বড় টুর্নামেন্টে অপরাজিত: এবারের বিশ্বকাপে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন। গত বছর বিশ্ব জুনিয়র দাবা চ্যাম্পিয়ন্সেও একটা ম্যাচ না হেরে ট্রফি জিতেছিলেন।
৬) বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়ে গ্র্যান্ডমাস্টার হলেন
দাবা বিশ্বকাপে বেশিরভাগ খেলোয়াড়ই হন গ্র্যান্ডমাস্টার। কিন্তু দিব্য়ার ক্ষেত্রে হল উল্টোটা। দিব্যা বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর, দেশের ৮৮তম গ্র্যান্ডমাস্টার হওয়ার নজির গড়লেন।