ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো (File Photo)

লন্ডন, ১২ জুলাই: এক মাসের লড়াই শেষ। ইউরোপের ১১টি শহরে হওয়া করোনার মাঝে হওয়া এবারের ইউরো কাপ ঘটনাবহুল, নাটকীয়। টুর্নামেন্টের মাঝে করোনায় আক্রান্ত হন তিন ফুটবলার। তবে তাতে ইউরোর খেলায় বাধা পড়েনি। টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে স্লোভাকিয়ার বিরুদ্ধে খেলতে নেমে মাঠেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুমুখে চলে গিয়েছিলেন ডেনমার্কের তারকা ফুটবল ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেন। পরে অবশ্য সবার উদ্বেগ কাটিয়ে তিনি হাসপাতালে মৃত্যুকে হারিয়ে বাড়ি ফেরেন। ডেনমার্ক গ্রুপের প্রথম দুটি ম্যাচে হেরেও সেমিফাইনাল পর্যন্ত ওঠে।

ফ্রান্স, জার্মানি, গতবারের চ্যাম্পিয়ন পর্তুগালের মত শক্তিধর দেশগুলি এবার ফ্লপ হয়েছে। অস্ট্রিয়া প্রথমবার ইউরোর নক আউটে খেলে চমকে দিয়েছে। বেলজিয়াম প্রতিবারের মত এবারও কোয়ার্টার ফাইনালে বিদায় নেয়। ডেনমার্ক এবারের টুর্নামেন্টে সবার আবেগের নাম হয়ে উঠেছিল, এরিকসেনের চোটের জন্য। এবারেই প্রথম ইউরো কাপের ফাইনালে খেলল ইংল্যান্ড। ১৯৬৮-র পর ইউরো কাপ জিতল ইতালি। এবারের ইউরোয় পাঁচটা গোল করেও ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো নক আউটের শুরুতেই বিদায় নেন।

এবারের ইউরোয় গোলকিপাররা মন জিতলেন। দীর্ঘদিন পর কোনও বড় টুর্নামেন্টে সেরা ফুটবলারের পুরস্কার জিতলেন কোনও গোলকিপার। সেমিফাইনাল, ফাইনালে দলকে টাইব্রেকারে জিতিয়ে দলকে চ্যাম্পিয়ন করালেন ইতালির তরুণ গোলকিপার দোনারুমা। তবে শুধু দোনারুমা একা নন, ইংল্যান্ডের গোলকিপার পিকফোর্ড, সুইজারল্যান্ডের গোলকিপার ইয়ান সমারও দারুণ খেললেন।

আসুন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক ইউরো ২০২০-র পুরস্কারজয়ীদের

দলগত পুরস্কার

চ্যাম্পিয়ন: ইতালি (১০ মিলিয়ন ইউরো)

রানার্স: ইংল্যান্ড (৭ মিলিয়ন ইউরো)

সেমিফাইনালিস্ট: ডেনমার্ক, স্পেন ( ৫ মিলিয়ন ইউরো)

ব্যক্তিগত পুরস্কার

গোল্ডেন বুট (সর্বোচ্চ গোলদাতা): ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো (পর্তুগাল) (৫টি গোল ও ৩টি অ্যাসিস্ট)

সিলভার বুট: প্যাট্রিক স্কিচেক (চেক প্রজাতন্ত্র) (৫ টি গোল)

ব্রোঞ্জ বুট: করিমা বেঞ্জিমা (ফ্রান্স) (৪টি গোল)

গোল্ডেন বল (টুর্নামেন্টের সেরা): গিয়ালুইগি দোনারুমা (ফরাসি গোলকিপার)

উঠতি তারকা: পেদ্রি (স্পেন)

পরিসংখ্যানে ইউরো

সবচেয়ে বেশি গোল করেছে ইতালি ( ৭ ম্যাচে ১৩টি) এবং স্পেন (৭ ম্যাচে ১৩টি)

সবচেয়ে কম গোল করেছে: ফিনল্যান্ড, তুর্কি, স্কটল্যান্ড (১টি গোল)

সবচেয়ে ভাল ডিফেন্স: ইংল্যান্ড ( ৭ ম্যাচে মাত্র ২টি গোল হজম করে)

সবচেয়ে খারাপ ডিফেন্স: ইউক্রেন (৫ ম্যাচে ১০টি গোল খায়)

এবারের ইউরোয় মোট ১১টি গোল আত্মঘাতী গোল হয়েছে।

টুর্নামেন্ট সর্বাধিক গোলদাতারা

ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো (পর্তুগাল) (৫টি)

প্যাট্রিক স্কিচেক (চেক প্রজাতন্ত্র)  (৫টি)

করিম বেঞ্জিমা (ফ্রান্স) (৪টি)

এমিলে ফোসবার্গ (সুইডেন) (৪টি)

রোমিলু লুকাকু (বেলজিয়াম) (৪টি)