ENG vs WI (Photo Credit: England Cricket/ X)

ম্যাথু ফোর্ড, আলজারি জোসেফ ও রোমারিও শেফার্ড মিলে সাত উইকেট নেওয়ার পর কেসি কার্টি (১১৪ বলে ১২৮) ও ব্র্যান্ডন কিং (১১৭ বলে ১০২) সেঞ্চুরি করে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে আট উইকেটে জয় এনে দেন। জয়ের জন্য ২৬৪ রান তাড়া করতে নেমে কিং এবং কার্টি ২০৯ রানের পার্টনারশিপে গড়েন। এটি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের যে কোনও উইকেটে সর্বোচ্চ জুটি। এর ফলে ৪৩ ওভারে জয়লাভ করে সিরিজে ২-১ ব্যবধানে জিতে নেয় ম্যান ইন মেরুনরা। রান তাড়া করতে নেমে এভিন লুইস ও কিং ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দারুণ সূচনা এনে দেন। এরপরে কিং এবং কার্টি ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৯ ওভারে ১০০ রানের গণ্ডি, ২৭তম ওভার শেষ হওয়ার আগে দলটি ১৫০ রান অতিক্রম করে। কার্টি ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সেঞ্চুরি করা প্রথম সেন্ট মার্টিন খেলোয়াড় হন। রিস টপলির বলে কিং বোল্ড হওয়ায় আগে পার্টনারশিপ ২০০ রান ছাড়িয়ে যায়। AUS vs PAK Series: পাকিস্তানের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক জশ ইংলিস

ওয়েস্ট ইন্ডিজ বনাম ইংল্যান্ড তৃতীয় ওয়ানডে স্কোরকার্ড

এর আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেসাররা শুরুতে ইংল্যান্ডকে সমস্যায় ফেলে। ফোর্ড তৃতীয় ওভারে উইল জ্যাকসকে এবং একইভাবে পরের ওভারে আলজারি কক্সকে শর্ট বলে আউট করেন। এরপর শেফার্ডের শিকার হন বার্বাডোজে জন্মগ্রহণকারী ইংলিশ ব্যাটসম্যান জ্যাকব বেথেল। ফর্মে থাকা লিভিংস্টোন শেফার্ডের বলে আউটসাইড এজে আউট হলে ইংল্যান্ডের স্কোর- ২৪/৪ হয়ে যায়। ফিল সল্ট এবং স্যাম কারান ইংল্যান্ডের ব্যাটিংকে উদ্ধার করার চেষ্টা করেন। পিচ আরও ভাল হওয়ার সাথে সাথে ব্যাটিং পরিস্থিতি কিছুটা সহজ হয়। এই জুটি পঞ্চম উইকেটে ৭০ রান যোগ করে। কারান ৪০ রানে চেজের বলে আউট হওয়ার পর সল্ট ও ড্যান মুসলে ৭০ রানের জুটি গড়েন। সল্ট অবশ্য ৭৪ রানে বিদায় নেন, মুসলি তার প্রথম ওয়ানডে অর্ধশতরান করেন। ওভারটন এবং আর্চার ৩০ রান করে ইংল্যান্ডকে ভাল শেষ করতে সহায়তা করে, তবে সেটিও শেষ পর্যন্ত অপর্যাপ্ত প্রমাণিত করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।