Gautam Gambhir (Photo Credit: BCCI/ X)

Gautam Gambhir: ২০২৪ সালের শুরুতে যখন রাহুল দ্রাবিড় নিশ্চিত করেন যে তিনি ভারতীয় দলের প্রধান কোচ হিসাবে বিসিসিআইয়ের সাথে আর চুক্তি বাড়াবেন না, তখন গৌতম গম্ভীরের নাম শক্তিশালী প্রার্থী হিসাবে উঠে আসে। কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে আইপিএল শিরোপা জয়ের পর গম্ভীরের নতুন ভূমিকায় তাঁকে নেওয়াটা উপযুক্ত হবে বলে মনে হচ্ছিল। তবে প্রাক্তন ভারতীয় ওপেনার যখন ভারতীয় দলে তাঁর চাকরি হারানোর দ্বারপ্রান্তে। কয়েকদিন ধরে প্রকাশিত বিভিন্ন রিপোর্ট দাবি করেছে যে গম্ভীর একদমই প্রথম পছন্দ নয় তিনি তাঁকে কেবল একটি 'সমঝোতা'। দ্রাবিড়ের পরিবর্ত হিসেবে গম্ভীরকে নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয় মূলত আইপিএল ২০২৪-এর সেকেন্ড হাফে। গম্ভীরের কোচ হিসেবে কোনও অভিজ্ঞতা না থাকলেও প্রাক্তন ভারত বিশ্বকাপজয়ী এই তারকাকে চ্যালেঞ্জ জানানোর মতো আর কোনও প্রতিযোগী ছিল না। এমনকি অবসরের পর আইপিএলে গম্ভীর লখনউ সুপার জায়ান্টসের মেন্টর হিসেবেও কাজ করেছেন। Gautam Gambhir: পূজারাকে দলে চেয়েছিলেন গম্ভীর, প্ল্যান বাতিল করে নির্বাচকরা; বর্ডার গাভাস্কর ট্রফি নিয়ে নয়া রিপোর্ট

তবে জুলাইয়ে ভারতের কোচ হওয়ার পর থেকে প্রধান কোচ হিসেবে গম্ভীরকে বেশ খারাপ সময় পার করতে হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে শ্রীলঙ্কার মাটিতে ওয়ানডে সিরিজ হার এবং নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজে ০-৩ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ভারত ১-২ ব্যবধানে পিছিয়ে থাকায় তিনি এখন টানা দ্বিতীয় টেস্ট সিরিজ হারের দ্বারপ্রান্তে। রোহিত শর্মার দল টানা ১০ বছরের বেশি সময়ের মধ্যে প্রথমবারের মতো বর্ডার-গাভাসকর ট্রফি হাতছাড়া করার পথে, যদি না তারা এই সপ্তাহের শেষের দিকে সিডনিতে শেষ টেস্ট ড্র করে।

বিসিসিআইয়ের প্রথম পছন্দ ছিলেন কে?

পিটিআইয়ের একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে ভারতের প্রাক্তন বাঁ-হাতি ব্যাটার দ্রাবিড়ের পরিবর্তে বিসিসিআইয়ের প্রথম পছন্দ ছিলেন না। জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির প্রধান ভিভিএস লক্ষ্মণকে আগে প্রস্তাব দেওয়ার হয়। সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ার পর কিছু বিখ্যাত বিদেশী নামও এই ভূমিকার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে, এরপরে গম্ভীরকে বেছে নেওয়া হয়। নিজের যোগ্যতা প্রমাণের জন্য ফেব্রুয়ারিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত সময় রয়েছে গম্ভীরের। এখন গম্ভীর কেবল আশা করবেন যে বর্ডার-গাভাসকর সিরিজের পঞ্চম টেস্ট ম্যাচে ভারত এসসিজিতে একটি অলৌকিক ঘটনা ঘটাবে। যদি সেটা হয় তাহলে ২০২৭ সালে তার চুক্তির শেষ অবধি ভারতীয় দলের সাথে থাকার কিছুটা আশা বেঁচে থাকবে।