পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অভিযানের হতাশাজনক ফলাফলের পরিপ্রেক্ষিতে সাত সদস্যের পিসিবি নির্বাচক কমিটিতে পরিবর্তন আনা হতে পারে। পাকিস্তানের জন্য কী ভুল হয়েছে তা মূল্যায়ন করার জন্য পিসিবি পর্যালোচনা করবে। ESPNCricinfo-এর খবর অনুসারে, নির্বাচক কমিটিতে লোকের সংখ্যা কমবে তবে পিসিবি প্রধান ছাড়াই একটি নির্বাচক কমিটি রাখার সংক্ষিপ্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষার কথা বাদ দেওয়ার বিষয়ে বিবেচনা করা হচ্ছে। মজার বিষয় হল, তিন মাসেরও কম সময় আগে বর্তমান নির্বাচক কমিটির কথা ঘোষণা করা হয়। সেইসময় ওয়াহাব রিয়াজ (Wahab Riaz), যিনি ততক্ষণ চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছিলেন, তাকে এই উপাধি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় কিন্তু তিনি কমিটির সদস্য থাকেন। পিসিবি চেয়ারম্যান মোহসিন নাকভি সেই সময় বলেন যে কমিটি সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর জন্য যুক্তির ভিত্তিতে সংখ্যাগরিষ্ঠে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। PAK Players in Support of Haris Rauf: ভক্তের সাথে ঝামেলার বিতর্কে হারিস রউফের পাশে পাক ক্রিকেটররা; দেখুন টুইটের বন্যা
তবে ওয়াহাব কমিটির প্রধান হিসেবে তার পদ ফিরে পাবেন না বলে আশা করা হচ্ছে। কমিটি থেকে ওয়াহাবের চলে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল, নাকভি প্রকাশ্যে দেখাতে চেয়েছেন যে কেউই প্রতিকূল পরিণতি থেকে মুক্ত নয়। এদিকে ধারণা করা হচ্ছে, বাবর আজমের অধিনায়কত্ব নিয়ে এখনই সিদ্ধান্ত আশা করা যাচ্ছে না। চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে পাকিস্তান ছিটকে যাওয়ার পর থেকে ক্রমবর্ধমান আবেগপ্রবণ হয়ে ওঠা পরিস্থিতি সত্ত্বেও, পাকিস্তানের পরবর্তী সাদা বলের ম্যাচটি নভেম্বরের আগে না হওয়ায় কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রয়োজন নেই বলে মনে করা হচ্ছে।
নতুন ম্যানেজমেন্টের বেশ কয়েকজন সদস্যের প্রতিক্রিয়া গুরুত্বপূর্ণ হবে, বিশেষত প্রধান কোচ গ্যারি কার্স্টেনের। কোচ খোঁজার পর এপ্রিলে পাক দলের সঙ্গে আসা কার্স্টেনের মতামত পিসিবির কাছে প্রাধান্য পাবে বলে জানা গিয়েছে। টুর্নামেন্ট থেকে পাকিস্তানের বিদায়ের পর দলে ঐক্যের অভাব নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন কার্স্টেন। যদিও কার্স্টেনের মন্তব্যের নির্দিষ্ট বিষয়বস্তুর সত্যতা অস্পষ্ট থাকলেও পাক শিবিরে খেলোয়াড়দের মধ্যে যে মনের মিল নেই সেটি বোঝা যায়। যদি এখন কোনও সিদ্ধান্ত জনসমক্ষে না জানানো হয়, তবে ৩০ শে জুন শেষ হওয়ার পরে খেলোয়াড়দের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে সেটি নজরে পড়বে। এই মুহূর্তে সর্বোচ্চ ক্যাটাগরিতে আছেন তিনজন খেলোয়াড়: বাবর আজম, মহম্মদ রিজওয়ান ও শাহিন শাহ আফ্রিদি।