এই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচের পর মিডিয়ার প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে তাড়াহুড়ো করছিলেন শ্রীলঙ্কার খেলোয়াড়রা। কারণ ম্যাচের পরপরই তাদের ব্রুকলিনে তাদের হোটেলে ছুটে যেতে হয় যা দেড় ঘন্টা দূরে, এরপর সেখান থেকে জিনিস প্যাক এবং চেক আউট সন্ধ্যা ৬টার ফ্লাইটে ডালাসে যেতে হয় যেখানে তারা এখন বাংলাদেশের বিপক্ষে একটি মাস্ট উইন ম্যাচ খেলবে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলা লজ্জাজনক হারের ম্যাচটি খেলতে নিউ ইয়র্কের বিলম্বিত ফ্লাইট ধরতে তাদের মিয়ামি বিমানবন্দরে সাত ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয়েছিল। ESPNCricinfo-এর খবর অনুসারে, তাদের অধিনায়ক ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা (Wanindu Hasaranga) এবং মাহিশা থিকশানা (Maheesh Theekshana) উভয়ই শিকার করেছেন যে সময়সূচী এবং লজিস্টিকাল ব্যবস্থায় তাঁদের দলের সঙ্গে অন্যায় হয়েছে। দলের ম্যানেজার মাহিন্দা হালানগোদা নিশ্চিত করেছেন যে তারা আইসিসিকে এটি সম্পর্কে চিঠি দিয়েছেন, তবে স্বীকার করেছেন যে এটি সম্পর্কে কিছু করার জন্য অনেক দেরি হয়ে গেছে। SA vs SL, ICC T20 World Cup 2024: অ্যানরিখ নর্টজের কেরিয়ার সেরা বোলিংয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে একতরফা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার
অংশগ্রহণকারী ২০টি দলের মধ্যে শ্রীলঙ্কা তাদের প্রথম রাউন্ডের ম্যাচ চারটি ভিন্ন ভেন্যুতে খেলছে। এদিকে ভারত এবং দক্ষিণ আফ্রিকার নিউ ইয়র্কে একই ভেন্যুতে তিনটি ম্যাচ খেলছে এবং কাছাকাছি সব সুবিধা পেয়েছে। শ্রীলঙ্কার হোটেলটি ব্রুকলিনের কেন্দ্রস্থলে এদিকে ভারতে এবং সাধারণভাবে দক্ষিণ এশিয়ার টিভি দর্শকদের জন্য করা সূচি অনুযায়ী সব ম্যাচই স্থানীয় সময় সকালে হওয়ায় বেশ সমস্যায় পড়েছে দল বলে জানা গিয়েছে। শ্রীলঙ্কা ভোরে উঠে ব্রেকফাস্ট না করেই সকাল ৭টার আগেই হোটেল ত্যাগ করে। তবে হাসারাঙ্গা, থিকশানা ও হালাগোন্ডা শ্রীলঙ্কার যে তিন প্রতিনিধি কথা বলেছেন, তারা দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হারের জন্য একে দোষারোপ করছেন না।
থিকশানা বলেন, 'আমাদের জন্য খুবই অন্যায়, প্রতিদিন (ম্যাচ শেষে) আমাদের চলে যেতে হবে কারণ আমরা চারটি ভিন্ন ভেন্যুতে খেলছি। এটা অন্যায়। ফ্লোরিডা থেকে মায়ামি থেকে যে ফ্লাইটে উঠেছিলাম, ফ্লাইট পেতে আমাদের এয়ারপোর্টে আট ঘণ্টার মতো অপেক্ষা করতে হয়েছে। আমাদের রাত ৮ টায় ছাড়ার কথা থাকলেও আমরা ভোর ৫ টায় ফ্লাইট পেয়েছি। এটা সত্যিই আমাদের জন্য অন্যায়, কিন্তু আপনি যখন (মাঠে) খেলবেন তখন এটা কোনো ব্যাপার না।' ব্যস্ত সূচির কারণেই শ্রীলঙ্কা ম্যাচের আগের দিন তাদের অনুশীলন বাতিল করে, ভ্রমণের ক্লান্তি তাদের অনুশীলন বাতিল করেছে কিনা জানতে চাইলে থিকশানা বলেন, 'হ্যাঁ, সে কারণেই। কারণ হোটেল থেকেও মাঠ এক ঘণ্টা ৪০ মিনিট দূরে। আজকেও (ম্যাচের দিন) আমাদের এখানে আসার জন্য ভোর ৫টায় ঘুম থেকে উঠতে হয়েছে।'
শ্রীলঙ্কার লজিস্টিকস ও শিডিউলিং কেমন হলে ভালো হতো জানতে চাইলে থিকশানা বলেন, 'যে দলগুলো একই জায়গায় থাকার সুযোগ পেয়েছে তাদের নাম বলতে পারব না, কিন্তু তাদের হোটেল মাঠ থেকে মাত্র ১৪ মিনিট। আমাদের সেটা এক ঘণ্টা ৪০ মিনিটের মতো...' এই প্রসঙ্গে হাসারাঙ্গা বলেন, 'গত কয়েকদিন আমরা কঠিন সময় পার করেছি। চারটি ভেন্যুতে চারটি ম্যাচ। এটা কঠিন। আমরা (এখানকার কন্ডিশন সম্পর্কে) কিছুই জানতাম না। নিউইয়র্কে এটাই আমাদের প্রথম খেলা। ডালাসে পরের ম্যাচে আমরা জানি না (সেখানকার কন্ডিশন সম্পর্কে)। পরের ম্যাচ ফ্লোরিডায়, যেখানে আমরা দুটি ম্যাচ খেলেছি, এটাই আমাদের একমাত্র প্লাস পয়েন্ট।'