Shan Masood & Babar Azam (Photo Credit: Cricket Pakistan/ X)

পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) সিদ্ধান্তের পর টি-টোয়েন্টিতে শাহিন আফ্রিদির স্থলাভিষিক্ত হয়ে সীমিত ওভারের ফরম্যাটের দায়িত্ব নেন বাবর আজমকে (Babar Azam)। বিশ্বকাপে পাকিস্তানের হতাশাজনক পারফরম্যান্সের পর সব ফরম্যাটের অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ান বাবর। এরপর আফ্রিদি টি-টোয়েন্টি দলকে নেতৃত্ব দেন এবং মাসুদ টেস্ট দলের অধিনায়কত্ব করেন। এখন সাদা বলের ক্রিকেটে আবারও নেতৃত্ব দেওয়া নিয়ে নিজের ভাবনা প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের টেস্ট অধিনায়ক শান মাসুদ (Shan Masood)। এই সিদ্ধান্তকে কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গির সাথে নতুন পরিচালনা কাঠামো এবং বাছাই কমিটিকে দায়ী করেছেন। খেলোয়াড়দের খেলার চাপ এড়ানোর গুরুত্বের উপর জোর দিয়ে তিনি বলেছেন যে এই সিদ্ধান্তটি শাহিন আফ্রিদির ওয়ার্কলোড সাথে জড়িত থাকতে পারে। Babar Azam as White-Ball Captain: জল্পনার অবসান ঘটিয়ে পাকিস্তানের সাদা বলের অধিনায়ক বাবর আজম

পাকিস্তান ক্রিকেটের খবর অনুসারে তিনি জানিয়েছেন, 'এখানে নতুন সেট আপ এসেছে, একটি নতুন নির্বাচক কমিটির সবসময় একটি পরিকল্পনা থাকে। তারা একটি নির্দিষ্ট পরিকল্পনা দেখেছে...তারা সম্ভবত শাহীন আফ্রিদিকেও বিশ্রাম দিতে চায়, তার কাজের চাপ সামলাতে চায়। কারণ আমরা গত বছর বিশ্বকাপের ঠিক আগে নাসিম শাহকে হারিয়েছিলাম যা পাকিস্তানের জন্য খুব ব্যয়বহুল প্রমাণিত হয়।' নেতৃত্বের পরিবর্তন সত্ত্বেও, মাসুদ পাকিস্তানের সাফল্য যে দলের মূল লক্ষ্য সেকথা মানেন। তিনি বলেন, 'আমি মনে করি, খেলোয়াড় হিসেবে আমাদের অভিন্ন লক্ষ্য পাকিস্তান দলের জন্য ভালো করা। যারাই নেতৃত্ব দিচ্ছেন, সবাই তাদের পাশে আছেন এবং তাদের জন্য ভালো কিছু করতে প্রস্তুত।'

রাশিদ লতিফের বিতর্কিত বয়ান

এদিকে পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার রাশিদ লতিফ (Rashid Latif) মনে করেন, সাদা বলের ফরম্যাটে অধিনায়কত্ব গ্রহণ করে শাহিনের ওপর প্রতিশোধ নিয়েছেন বাবর। ক্রিকেট পাকিস্তানের খবর অনুসারে তিনি বলেছেন, 'আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ হারের পর শাদাব খান স্মার্ট স্টেটমেন্ট দিয়েছিলেন। তিনি উঠে দাঁড়িয়ে বললেন যে বাবর-রিজওয়ান ছাড়া এই দল সম্পূর্ণ হয় না। তার মানে সে ক্যাপ্টেন নই। সেরকমই বাবরকে সরানোর সময় শাহিনের কাছ থেকে একই প্রত্যাশা করেছিলাম। শাহিন যদি সেদিন ওই পদক্ষেপ নিত, তাহলে আজ সে এসব দেখত না। যতই বন্ধুত্ব থাকুক না কেন, বাবর প্রতিশোধ নিয়েছে (শাহিনের বিরুদ্ধে)। তিনি বলেন, 'শাহীনের সঙ্গে অন্যায় আচরণ করা হয়েছে, বাবরের সঙ্গেও অন্যায় আচরণ করা হয়েছে।'