Late Phil Huges (Photo Credit: The Australian/ X)

Phil Hughes 10th Death Anniversary: আজ, ২৭ নভেম্বর অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটার ফিলিপ হিউজের (Phil Hughes) অকাল মৃত্যুর ১০ বছর পূর্তি। ২০১৪ সালের সেই ঘটনা ক্রিকেট বিশ্বকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। প্রতিভাবান বাঁহাতি ব্যাটসম্যান হিউজ ২০১৪ সালের ২৫ নভেম্বর ঘরোয়া শেফিল্ড শিল্ডের ম্যাচে বাউন্সারের আঘাতে মারা যান। সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে নিউ সাউথ ওয়েলসের বিপক্ষে সাউথ অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খেলার সময় শন অ্যাবট (Sean Abbott) বল করছিলেন। সেইসময় একটি শর্ট পিচ ডেলিভারি ফিলের ঘাড়ে আঘাত করে। সেই সময় হিউজ ৬৩ রানে অপরাজিত ছিলেন। সেই বল যখন ফিলের ঘাড়ে লাগে তখন মেরুদণ্ড অবধি যাওয়া একটি ধমনী ছিড়ে যায়। যার ফলে অজি তারকার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়। তিনি মাঠে পড়ে যান এবং তাকে দ্রুত সেন্ট ভিনসেন্ট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার জরুরি অস্ত্রোপচার করা হয়। দুঃখজনকভাবে, সেরা চিকিৎসা প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, হিউজ তার আঘাতের দু'দিন পরে মারা যান। শোকে স্তব্ধ হয়ে পড়ে ক্রিকেট মহল। AUS PM XI vs IND: পিঙ্ক বল টেস্টের প্রস্তুতিতে ভারতের বিপক্ষে দল ঘোষণা অজি প্রধানমন্ত্রী একাদশের

উজ্জ্বল তরুণ প্রতিভা হারানোর শোকে ভেঙ্গে পড়ে বিশ্বজুড়ে খেলোয়াড় এবং ভক্তরা। সেইসময় হিউজের মৃত্যু খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তোলে। বিশেষত ক্রিকেট হেলমেট নিয়ে। এরপর ঘাড়ের সুরক্ষার জন্য নতুন করে হেলমেট ডিজাইন করা হয়। এছাড়া আইসিসি ভবিষ্যতে এই জাতীয় ঘটনা আটকাতে কনকাশন প্রোটোকলগুলিতে আরও বেশি ফোকাস করে। নিউ সাউথ ওয়েলসের ম্যাকসভিলে তাঁর শেষকৃত্যে ক্রিকেটার, ভক্ত এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিরা একত্রিত হন। #PutOutYourBats হ্যাশট্যাগ দিয়ে বিশ্বব্যাপী শ্রদ্ধার প্রতীক হিসেবে, ভক্তরা শ্রদ্ধা হিসাবে তাদের বাড়ির বাইরে রাখা ক্রিকেট ব্যাটের ছবি পোস্ট করে।

হিউজের মৃত্যুর প্রভাব বিশেষত অস্ট্রেলিয়া দলের উপর ছিল গভীর। সেইসময় ভারতের বিরুদ্ধে একটি বহুল প্রত্যাশিত টেস্ট সিরিজের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল দল। প্রাথমিকভাবে ৪ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও দলের ওপর শোকের ছায়া নেমে আসায় সেটি পিছিয়ে দেওয়া হয়। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া তখন খেলোয়াড়দের মানসিক সুস্থতাকে গুরুত্ব দেয়। এরপর ৯ ডিসেম্বর অ্যাডিলেডে শুরু হয় প্রথম টেস্ট। যেখানে খেলোয়াড় ও সমর্থকরা হিউজের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। অস্ট্রেলিয়া কালো আর্মব্যান্ড পরে এবং খেলার আগে এক মিনিট নীরবতা পালন করে। ডেভিড ওয়ার্নার, মাইকেল ক্লার্ক ও স্টিভ স্মিথ নিজেদের পারফরম্যান্স হিউজকে উৎসর্গ করেন।

সেই টেস্টে ভারতও হিউজকে সম্মান জানাতে যোগ দিয়েছিল। বিরাটরাও কালো আর্মব্যান্ড পরে শ্রদ্ধা নিবেদনে অংশ নিয়েছিল। সিরিজটি তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হলেও হিউজের অনুপস্থিতির দীর্ঘস্থায়ী দুঃখে ঢাকা ছিল। আজ, হিউজ কেবল তার ক্রিকেটের কৃতিত্বের জন্যই স্মরণীয় হয়ে নেই। টেস্ট ক্রিকেটে ব্যাক-টু-ব্যাক সেঞ্চুরি করা সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হওয়ার সঙ্গে ক্রিকেটে ব্যাটসম্যানদের সুরক্ষার মূল কারণ হিসেবেও স্মরণীয় হয়ে আছেন। সেই কারণে প্রত্যেক বছর তাঁর মৃত্যুবার্ষিকীতে ক্রিকেট বিশ্ব থমকে দাঁড়ায় অল্পের জন্য হারিয়ে যাওয়া এক জীবনকে সম্মান জানাতে।