প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক এবং বর্তমান বিসিসিআই (BCCI) সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি ( Sourav Ganguly) তাঁর গৌরবময় ক্রিকেট ক্যারিয়ারের সবচেয়ে কঠিন অধ্যায়ের কথা বলেছেন। গাঙ্গুলি জানিয়েছে, তাঁর কেরিয়ারের সবচেয়ে বড় ধাক্কা যখন তাঁকে ভারত অধিনায়কের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল এবং পরে ২০০৫ সালে দল থেকে বাদ দেওয়া হয়। অধিনায়কের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়াকে ‘অন্যায়’ বলে দাবি করেছেন সৌরভ।
সংবাদ প্রতিদিনকে (Sangbad Pratidin) দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সৌরভ বলেছেন, "আমার কেরিয়ারের সবচেয়ে বড় ধাক্কা ছিল ওটা। ভীষণ অবিচার হয়েছিল। জানি সব সময় সুবিচার পাওয়া সম্ভব নয়। তবে ওই ব্যাপারটা এড়ানো যেত। সদ্য জিম্বাবুয়ে থেকে সিরিজ জিতে ফেরা দলের অধিনায়ক ছিলাম আমি। আর দেশে ফিরে আমাকে বাদ দিয়ে দেওয়া হল?" তিনি বলেন, "আমি ভারতের হয়ে ২০০৭ সালের বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন দেখেছিলাম। আমরা আগেরবার ফাইনালে হেরেছি। আমার স্বপ্ন দেখার কারণও ছিল। কারণ পাঁচ বছরে আমার অধীনে ভারতীয় দল ভালো খেলেছিল। তারপর আমাকে আচমকা বাদ দেওয়া হল? প্রথমে বলা হল ওয়ান ডে দল থেকে বাদ। পরে টেস্ট দল থেকেও ছেঁটে ফেলা হল।" আরও পড়ুন: Asia Cup 2020: এশিয়া কাপ বাতিলের বিষয়ে তারা কিছু জানে না, জানাল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড
প্রাক্তন এই ভারতীয় ওপেনার যোগ করেছেন যে তাঁর সন্দেহ নেই যে গ্রেগ চ্যাপেল (Greg Chappell) যখন তাঁর বিরুদ্ধে বোর্ডে ইমেল পাঠিয়েছিলেন তখন থেকেই এসব শুরু হয়েছিল। ওই ইমেল পরে ফাঁস হয়ে গেছিল। সৌরভ বলেন, “আমি একা গ্রেগ চ্যাপেলকে দোষ দিতে চাই না। তিনিই যে এটি শুরু করেছিলেন তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তিনি হঠাৎ বোর্ডের কাছে আমার বিরুদ্ধে একটি ইমেল পাঠান, যা ফাঁস হয়ে যায়। এরকম কিছু ঘটে? একটি ক্রিকেট দল পরিবারের মতো। পরিবারে মতপার্থক্য থাকতে পারে, ভুল বোঝাবুঝি হতে পারে, তবে এটি আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা উচিত। আপনি কোচ, আপনি যদি বিশ্বাস করেন যে আমার একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে খেলা উচিত তবে এসে আমাকে বলুন। আমি যখন খেলোয়াড় হয়ে ফিরে এসেছি তখন তিনি একই জিনিস করেছিলেন, তবে আগে কেন নয়?"
বুধবার তাঁর ৪৮ তম জন্মদিন পালন করেছেন সৌরভ। তিনি অবশ্য চ্যাপেলকে একা দোষ দিতে চাননি। বলেন, যে সবার সমর্থন ছাড়া কোনও ভারতীয় অধিনায়ককে সরিয়ে দেওয়া সম্ভব নয়। সৌরভ বলেছেন, "অন্যরাও নিরপরাধী নয়। একজন বিদেশি কোচ যার দল নির্বাচনে কিছু বলার নেই সে অধিনায়ককে বাদ দিয়ে দিতে পারে না। পুরো সিস্টেমের সমর্থন না থাকলে সেটা সম্ভব ছিল না। আমাকে বাদ দেওয়ার ক্ষেত্রে সকলেই জড়িত ছিল। তবে আমি চাপের মুখে ভেঙে পড়িনি। আত্মবিশ্বাস হারাইনি।"