অস্ট্রেলিয়া বধ করে আজই দেশে ফিরেছেন ভারতীয় দলের ক্রিকেটাররা। অন্যদের মতো দেশ ফিরেছেন পেসার মহম্মদ সিরাজও (Mohammed Siraj)। বাবাকে শেষ দেখা দেখতে পারেননি। অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়েই খবর পেয়েছিলেন বাবার মৃত্যুর। তবে তিনি দেশে ফিরে আসেননি। সফর শেষের পর দেশে ফিরেই বাবার সমাধিতে যান সিরাজ। সেখানেই ভেঙে পড়লেন কান্নায়। বিমানবন্দর থেকে সোজো সমাধিক্ষেত্রে গিয়ে প্রয়াত পিতার উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা জানান মহম্মদ সিরাজ। সেখানে কিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে তারকা ক্রিকেটার বাড়ির পথে রওনা হন।
শেষ তিনটে টেস্টে অংশ নিয়ে তুলে নিয়েছেন ১৩ উইকেট। ব্রিসবেনে এর মধ্যে ইনিংসে পাঁচ উইকেট শিকারও করেছেন। তিনি সেই প্রসঙ্গে বলেছিলেন, “আমি অনেক উইকেট নেওয়ার কথা ভাবিনি। অনেক খেলোয়াড় আহত হওয়ার পরে, সবাই আমার উপর বিশ্বাস রাখছিল। আমি চাপে ছিলাম এবং এটি করা চ্যালেঞ্জ ছিল। সিডনিতে খেলতে নেমে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন। এসসিজি-তে জাতীয় সঙ্গীত চলার সময়েই ২৬ বছরের তারকাকে দেখা যায় আবেগবিহ্বল হয়ে চোখের জল মুছছেন। সেই সময় সতীর্থরা তাঁকে সামলান। এই বিষয়ে সিরাজ বলেন, এটা আমার পক্ষে কঠিন ও মানসিকভাবে হতাশাব্যঞ্জক ছিল। আমার পরিবার আমাকে বাবার স্বপ্ন পূরণ করতে বলেছিল যখন আমি বাড়িতে ফিরতে চাইছিলাম। আমার বাগদত্তা আমাকে মোটিভেট করেছিল এবং আমার দলও আমাকে সমর্থন করেছিল। আমি আমার সমস্ত উইকেট তাঁকে উৎসর্গ করেছি। মায়াঙ্ক আগরওয়ালের সাথে আমার উদযাপন তাঁকে উৎসর্গ করা হয়েছে। আরও পড়ুন: Ravindra Jadeja Ruled Out Of England Test Series: ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ থেকেও ছিটকে গেলেন রবীন্দ্র জাদেজা
সিডনি টেস্টেই হায়দরাবাদি তারকা মাঠে বর্ণবিদ্বেষের শিকার হন। তবে সেই ঘটনা তিনি মেনে নেননি। সরাসরি দলের ক্যাপ্টেন এবং আম্পায়ারকে জানান। সিরাজ বলেন, "অস্ট্রেলিয়ান জনতা আমাকে গালি দেওয়া শুরু করে, এটি আমাকে মানসিকভাবে শক্তিশালী করে তোলে, আমার খেলাকে বাধাগ্রস্ত না করে দেওয়াটাই আমার প্রধান উদ্বেগ ছিল। আমার কাজটি ছিল আমার ক্যাপ্টেনকে জানানো যে আমাকে নির্যাতন করা হচ্ছে এবং আমি তা করেছিলাম। আম্পায়াররা আমাদের বলেছিল যে আপনি মাঠ ছাড়তে পারেন এবং খেলাটি ছেড়ে যেতে পারেন, তখন রাহানে ভাই আম্পায়ারকে বলেছিলেন যে আমরা চলে যাব না, আমরা খেলাকে সম্মান করি।"