
Sachin Unknown Facts: ক্রিকেট বিশ্বে যিনি 'গড অব ক্রিকেট' নামে পরিচিত, সেই সচিন তেন্ডুলকরের (Sachin Tendulkar) জীবন সম্পর্কে অনেক কিছুই জানা। তবে কিংবদন্তি ক্রিকেটারের জীবন ও কেরিয়ার সম্পর্কে বেশ কিছু অজানা তথ্য রয়েছে। যেমন, সংগীত পরিচালক সচিন দেব বর্মণের (Sachin Dev Burman) ভক্ত ছিলেন তার বাবা এবং সেই নামানুসারে তার ছেলের নাম রাখেন সচিন। তার ক্রিকেট জীবনের কথা বলতে গেলে উঠে আসা নানা ঘটনা। যেমন যখন তিনি জুনিয়র দলে তখন ক্রিকেটকে ভালোবেসে তার ক্রিকেট গিয়ার নিয়ে ঘুমোতেন। কেরিয়ারে তিনি নাকি হতে চেয়েছিলেন একজন ফাস্ট বোলার। তবে তার এই ইচ্ছা প্রত্যাখ্যান করে দেন স্বয়ং ডেনিস লিলি (Dennis Lillee)। শুধু তাই নয় বিশ্বকাপের ম্যাচে একসময় বল বয় ছিলেন তিনি। এরকমই তাঁর জীবনের কিছু অজানা ও চমকপ্রদ তথ্য রয়েছে যা হয়তো অনেক ক্রিকেটপ্রেমীরই অজানা, এখানে সেসব জানানো হল। Cricketers on Pahalgam Terrorist Attack: গৌতম গম্ভীর থেকে শুভমন গিল, পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার নিন্দা ভারতীয় ক্রিকেট মহলের
শাস্তি হিসেবে ক্রিকেট
সচিনের বাবা রমেশ তেন্ডুলকর কিংবদন্তি সংগীত পরিচালক সচিন দেব বর্মণের বড় ভক্ত ছিলেন, যে কারণে তিনি তার ছেলের নাম তার নামে রেখেছিলেন। ছোটবেলায় শাস্তি হিসেবে সচিনকে ক্রিকেট কোচিংয়ে পাঠাতেন তিনি।
বল বয় হিসেবে ক্রিকেটে হাতখড়ি
১৯৮৭ বিশ্বকাপের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ভারত ও জিম্বাবয়ের মধ্যকার ম্যাচে বল বয় ছিলেন তিনি।
টেনিসের ভক্ত
স্কুলের দিনগুলিতে, তিনি টেনিস কিংবদন্তি জন ম্যাকেনরোকে অনুকরণ করার জন্য তার চুল বড় করতেন।
প্রথম ম্যাচে জার্সি নম্বর ছিল ৩৮
সচিন তেন্ডুলকর তাঁর আন্তর্জাতিক কেরিয়ার শুরু করেছিলেন জার্সি নম্বর ৩৮ নিয়ে। পরবর্তীতে ১৯৯৬ সালের বিশ্বকাপ থেকে তিনি ১০ নম্বর জার্সি পরতে শুরু করেন, যা তাঁর আইকনিক পরিচয় হয়ে ওঠে।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম সেঞ্চুরি, কিন্তু ম্যাচ হেরেছিলেন
১৯৮৯ সালে করাচিতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সচিন তাঁর প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি করেন (১১৯ রান)। তবে সেই ম্যাচে ভারত হেরে যায়। মজার বিষয় হলো, সচিনের প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরিও পাকিস্তানের বিরুদ্ধেই (১৯৯৪ সালে, ১১০ রান)।
বল ছোঁড়ার হাত ছিল ডান, ব্যাটিং করেন বাঁহাতে
সচরাচর বাঁহাতি ব্যাটসম্যানরা ডানহাতে বল ছোঁড়েন, কিন্তু সচিন ছিলেন উল্টো। তিনি ডানহাতে বল ছুড়তেন, কিন্তু ব্যাটিং করতেন বাঁহাতে।
অনন্য ব্যাট পরীক্ষা
সচিন তার বন্ধু রমেশ পারধেকে একটি রাবারের বল জলে ডুবিয়ে রাখতে বলতেন এবং সেই বল দিয়ে ব্যাটিং করতেন। তিনি পরে তার ব্যাটে ভেজা দাগ দেখতেন এবং বোঝার চেষ্টা করতেন যে বলটি মিডল করেছে কিনা।
বিয়ের দিনও ক্রিকেট খেলছিলেন
১৯৯৫ সালে অঞ্জলি মেহতার সঙ্গে বিয়ের দিন সকালে সচিন একটি টেস্ট ম্যাচ খেলতে গিয়েছিলেন! বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল সন্ধ্যায়, তাই তিনি সকালে মাঠে নেমেছিলেন।
সাইকেল চালাতে ভালোবাসতেন
ক্রিকেট মাঠের বাইরে সচিন একজন শখের সাইক্লিস্ট ছিলেন। তিনি প্রায়ই মুম্বইয়ের সমুদ্রতটে সাইকেল চালাতেন এবং এখনও নিয়মিত ফিটনেসের জন্য সাইক্লিং করেন।
প্রথম গাড়ি
সচিনের প্রথম গাড়ি ছিল একটি মারুতি ৮০০, যা সেই সময়ে ভারতীয়দের জন্য একটি জনপ্রিয় গাড়ি ছিল।
সৌরভ গাঙ্গুলির সঙ্গে তার সম্পর্ক
সৌরভ গাঙ্গুলিকে সচিন আদর করে 'বাবু মশাই' বলে ডাকেন এবং সৌরভ গাঙ্গুলি সচিনকে ডাকেন 'ছোটা বাবু' বলে।
প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচে জোড়া শূন্য
১৯৮৯ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সচিনের ডেবিউ টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে তিনি দুই ইনিংসেই শূন্য রান করেন (০ ও ০)। কিন্তু পরের ম্যাচেই তিনি ৫৯ রান করে নিজের প্রতিভার পরিচয় দেন।
একমাত্র ক্রিকেটার যিনি ২০০ টেস্ট খেলেছেন
সচিন তেন্ডুলকরই একমাত্র খেলোয়াড় যিনি ২০০ টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন। তাঁর কেরিয়ারে ১৫,৯২১ টেস্ট রান এবং ৫১ সেঞ্চুরি রয়েছে, যা এখনও বিশ্ব রেকর্ড।
ভারতের প্রথম ক্রিকেটার যিনি রাজ্যসভার সদস্য হয়েছেন
২০১২ সালে সাচিন তেন্ডুলকরকে রাজ্যসভার সাংসদ হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। তিনি ভারতের প্রথম ক্রিকেটার যিনি এই সম্মান পেয়েছেন।
ঘড়ি এবং পারফিউমের প্রতি ভালবাসা
সচিন তার ঘড়ি এবং পারফিউমের সংগ্রহের জন্য পরিচিত।