কেরলে প্রতারণার অভিযোগে এফআইআরে নাম ওঠার পর ফের সমস্যায় পড়েছেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার এস শ্রীসন্থ (S Sreesanth)। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে নাম ওঠার পর পেশাগত কেরিয়ার থমকে যাওয়া শ্রীসন্থের বিরুদ্ধে ১৮.৭ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ এনেছেন চুন্ডা কান্নাপুরমের (Choonda Kannapuram) এক বাসিন্দা। সংবাদসংস্থা ANI-এর খবর অনুযায়ী, সরিশ বালাগোপন (Sareesh Balagopan) নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে কর্ণাটকের কোল্লুরে একটি স্পোর্টস অ্যাকাডেমি তৈরির জন্য টাকা নিয়েছিলেন এবং এই অভিযোগে তিনি মামলা দায়ের করেছেন। সরিশের কথায়, স্পোর্টস অ্যাকাডেমির পার্টনার হওয়ার আশায় তিনি এই টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন। রাজীব কুমার (Rajiv Kumar) এবং ভেঙ্কটেশ কিনি (Venkatesh Kini) এই মামলার অন্য দুই অভিযুক্ত। Marlon Samuels Banned: 'দুর্নীতি দমন আইন' ভঙ্গের দায়ে ক্রিকেট থেকে নির্বাসিত মার্লন স্যামুয়েলস
কেরল পুলিশ তিনজনের বিরুদ্ধে আইপিসির ৪২০ ধারায় (প্রতারণা ও অসৎ উপায়ে সম্পত্তি হস্তান্তর) মামলা দায়ের করেছে। ৪০ বছর বয়সী শ্রীসন্থ বর্তমানে চলমান লেজেন্ডস লিগ ক্রিকেটে গুজরাট জায়ান্টসের হয়ে খেলছেন। ২০১৯ সালে অবসরের কথা ঘোষণা করেন এই ডানহাতি পেসার, যার ফলে ভারত ও ঘরোয়া ক্রিকেটের ঘটনাবহুল কেরিয়ারের অবসান ঘটে। ২০০৭ সালের টি-২০ বিশ্বকাপ ও ২০১১ সালের ওয়ান ডে বিশ্বকাপের মতো দুটি বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দলের অংশ ছিলেন তিনি। একজন প্রতিভাবান পেসার হিসেবে অসাধারণ সিম পজিশন নিয়ে মাঠে নামেন তিনি।
২০০৫ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত তিনি ভারতের পক্ষে ২৭ টেস্ট, ৫৩টি ওয়ানডে ও ১০টি টি-টোয়েন্টিতে অংশ নিয়েছেন। ২০১৩ সালের আইপিএল স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারির পরে শ্রীসন্থের কেরিয়ার কার্যকরভাবে শেষ হয়, যেখানে বিসিসিআই তাকে অজিত চান্ডিলা (Ajit Chandila) এবং অঙ্কিত চবন (Ankeet Chavan) সহ আরও দুই ক্রিকেটারের সাথে দোষী সাব্যস্ত করেছিল। শ্রীসন্থকে আজীবনের জন্য নির্বাসিত করা হয়, যা পরে ২০১৭ সালের আগস্টে কেরালা হাইকোর্ট রায় তুলে নেয়।
এরপরেই শ্রীসন্থ ভারতের হয়ে প্রত্যাবর্তনের আশা নিয়ে নিজের কেরিয়ার শুরু করেন। গত ২০২১ এবং ২০২২ সালে আইপিএল নিলামের জন্য তিনি সংক্ষিপ্ত তালিকায় নথিভুক্ত ছিলেন, কিন্তু কোনও দলই তাঁকে কেনেনি। তবে এখনও বিশ্বের বিভিন্ন টি-টোয়েন্টি লিগে খেলছেন তিনি।