কানপুর, ৩০ সেপ্টেম্বর: নিশ্চিত ড্র ম্যাচকে জয়ের মরিয়া চেষ্টায় টিম ইন্ডিয়া। মাত্র ২৮ ওভার ব্যাটিং করেই বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে করা ২৩৩ রানকে ছাপিয়ে গেল টিম ইন্ডিয়া। ৪ উইকেট হারিয়ে ভারত ২৪০ রান করে ফেলল। এখন ক্রিজে বিধ্বংসী ব্যাটিং করছেন বিরাট কোহলি (৪৭) ও লোকেশ রাহুল (৫১)। দেড়শো রানেরমত লিড নিয়ে ডিক্লেয়ার করলে এই ম্যাচ জয়ের সব পটভূমি তৈরি হয়ে যাবে ভারতের। কাল, মঙ্গলবার শেষ দিনে ৯৮ ওভারের খেলা হবে। পুরো দুটো দিন বৃষ্টি, মাঠ ভিজে থাকায় ভেস্তে যাওয়ার পর কানপুরে চতুর্থ দিনে জমজমাট খেলা চলছে। বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস ৭৪.২ ওভার স্থায়ী হয়। বুমরা ৫০ রানে ৩টি, সিরাজ,অশ্বিন, আকাশদীপ ২টি করে উইকেটে নেন। জাদেজা নেন একটি উইকেট। এরপর ব্যাট করতে নেমে জয়ের চেষ্টায় টি২০-র ঢঙে খেলতে শুরু করেন ওপেন করতে নামা রোহিত শর্মা ও যশস্বী জয়সওয়াল। ম্য়াচ জয়ের চেষ্টায় ইংল্যান্ডের ব্যাজ বল ক্রিকেটের চেয়েও বেশী আক্রমণাত্মক ঢঙে খেলতে থাকেন রোহিতরা।
গ্রিনপার্কে মাত্র ১৮ বলে হাফ সেঞ্চুরি করে ফেলে ভারত। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে এটিই কোনও দেশের করা দ্রুততম ৫০ রানের রেকর্ড। ক মাস আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ইংল্যান্ডের করা ২৬ বলে ৫০ রান করার রেকর্ড ভেঙে ফেলেন রোহিতরা।
দেখুন টি পর্যন্ত খেলার সংক্ষিপ্ত স্কোরবোর্ড
India on the charge in Kanpur 🏏#WTC25 | #INDvBAN 📝: https://t.co/xXxgiXzCWa pic.twitter.com/mCLLelKdLR
— ICC (@ICC) September 30, 2024
তাড়াহুড়োয় বাংলাদেশের স্পিনার মেহদি হাসান মির্জার বলে রোহিত শর্মা (১১ বলে ২৩ রান) আউট হয়ে যান। সেখান থেকে যশস্বী জয়সওয়াল ও শুবমন গিল আরও আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করতে শুরু করেন। জয়সওয়াল-গিল কানপুর টেস্টকে টি-২০তে পরিণত করে মারমুখি ব্যাটিং করতে থাকেন। ৫১ বলে ৭২ রানের দুরন্ত ইনিংল খেলে বাংলাদেশের পেসার হাসান মেহমুদের বলে আউট হন জয়সওয়াল। ওপেনিং জুটিতে রোহিত-জয়সওয়াল ২৩ বলে ৫৫ রান করেন, এরপর দ্বিতীয় উইকেটে জয়সওয়াল-গিল ৬৩ বলে ৭২ রান যোগ করেন। এরপর নেমেছেন পন্থ। চা পানের বিরতিতে টিম ইন্ডিয়া এখনও ৯৫ রানে পিছিয়ে।
এখনও দিনের খেলা হতে বাকি আছে ৪০ ওভার। ১৫০ রানের লিড নিয়ে ইনিংস ডিক্লেয়ার করে, জয়ের জন্য ঝাঁপানোর পরিকল্পনায় রোহিত শর্মা। কাল, মঙ্গলবার শেষ দিনে ৯৮ ওভার খেলা হবে। আজ ১০০-১২৫ মত লিড রাখতে পারলে কানপুরে ২-০ সিরিজ জেতার পটভূমি তৈরি হয়ে যাবে রোহিতদের। সেক্ষেত্রে শেষ দিনে অশ্বিন-জাদেজা, অক্ষররা মহানায়ক বনে যাওয়ার সুযোগ পেয়ে যাবেন।