শুভমন গিলের পঞ্চম ওয়ানডে সেঞ্চুরি ও অক্ষর প্যাটেলের ৪২ রানের ইনিংস সত্ত্বেও ভারতকে ৬ রানে হারিয়ে এশিয়া কাপের সুপার ফোরে জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। পাঁচ গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটারকে বিশ্রাম দিয়ে ২৬৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামে ভারত। জবাবে গিল এক প্রান্ত আগলে রেখে ১৩৩ বলে ১২১ রানের ইনিংস খেলেন। ভারত রান তাড়া করতে নামার পর বেশির ভাগ সময়ই এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ। প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই রোহিত শর্মাক ফেরান তানজিন হাসান সাকিব। এরপর ভারতের অভিষেককারী তিলক ভার্মার স্টাম্পে আঘাত হানেন এই তরুণ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজের প্রথম দুই ওভারেই দুই উইকেট তুলে নেন তিনি। ছয় ওভারের উদ্বোধনী স্পেল শেষ করেন ৬-১-১৫-২-এর চিত্তাকর্ষক পরিসংখ্যান দিয়ে। Ravindra Jadeja: ওয়ানডে-তে ২০০ জাদেজার, দেশের সপ্তম ক্রিকেটার হিসেবে গড়লেন নজির
তৃতীয় উইকেটে কে এল রাহুলের সঙ্গে ৫৪ রানের পার্টনারশিপ গড়েন গিল। শুরুর ধাক্কা সামলাতে না পারলেও শেষ পর্যন্ত ডট বলের চাপে পড়েন রাহুল। ৪০-এর কোঠায় দাঁড়িয়েও গিল মাহেদির বলে ছক্কা হাঁকিয়ে ফিফটি তুলে নেন। তবে ইশান কিষাণের উইকেটে বাংলাদেশ দ্রুতই পাল্টা আঘাত হানে। মেহেদী হাসান মিরাজের এলবিডব্লিউর ফাঁদে কাটতে রিভিও নষ্ট করেন ইশান। এরপর সূর্যকুমারকে সঙ্গ দেন গিল। ভারতের ইনিংস আবার নতুন করে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন গিল। কিন্তু বাংলাদেশ নিয়মিত বিরতিতে উইকেট নিতে থাকে। সূর্যকুমার পরের ন'ওভারে ৪৫ রানের পার্টনারশিপে আরও সক্রিয় হয়ে উঠলেন তিনি। তবে একই ধরনের পূর্বপরিকল্পিত সুইপে ২৬ রানে তার ইনিংস শেষ করে দেয়।
What a win! 👏
Bangladesh end their #AsiaCup2023 campaign on a high by beating finalists India in the final Super 4 game 💪#INDvBAN | https://t.co/ZOsknWbjNs pic.twitter.com/LKJJ7hdJ4b
— ICC (@ICC) September 15, 2023
গিল যখন ৯০ রানে তখন বাংলাদেশ রবীন্দ্র জাদেজাকে ফিরিয়ে দিতে সক্ষম হয়। তরুণ এই ওপেনার অবিচল থেকে তানজিনকে স্বাগত জানিয়ে আক্রমণে ফেরেন। শেষ সাতে ওভারে ৬৪ রান দরকার ছিল, তখন দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন ঘটান মাহেদি হাসান এবং লং অফে গিলের ফের বাউন্ডারি ক্লিয়ার করার চেষ্টা ব্যর্থ করে বড় উইকেট তুলে নেন। ৭ উইকেটে ২০৯ রান তুলে অক্ষর প্যাটেল চেষ্টা চালিয়ে যান কিন্তু মুস্তাফিজুর রহমানের ৪৯তম ওভারে জোড়া আঘাতে শেষ হয়ে যায় ভারতের লড়াই।
পূর্বে, সাকিব আল হাসানের ৮৫ বলে ৮০ ও তৌহিদ হৃদয়ের ৮১ বলে ৫৪ রান বাংলাদেশকে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ৮ উইকেটে ২৬৫ রানে পৌঁছে দেয়। মহম্মদ শামির বলে লিটন দাস আউট হন এবং শার্দুল ঠাকুর তানজিদ হাসান ও এনামুল হককে শর্ট বলে আউট করেন। মেহেদী হাসান মিরাজের বিদায়ের পর হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে ১০১ রানের জুটি গড়েন সাকিব। সেখানে সাকিব তার ৫৫তম ওয়ানডে ফিফটি তুলে নেন। এরপর শার্দুল ঠাকুর ভাঙেন এই সেঞ্চুরির জুটি। ৮০ রানে ব্যাট করা সাকিবকে ফেরান তিনি। পরের ওভারে শামীম হোসেনকে এলবিডাব্লিউ করে রবীন্দ্র জাদেজা তার দুশোতম ওয়ানডে উইকেট তুলে নেন। ৭৭ বলে ফিফটি করে হৃদয়ের সঙ্গে নাসুমের ৪৪ বলের ইনিংসে ডেথ ওভারে বাংলাদেশকে প্রয়োজনীয় গতি এনে দেয়। এরপর মেহেদী হাসান ২৩ বলে ২৯ রান ও তানজিম হাসান সাকিব ১৪ বলে ১৪ রান করেন।