আহমেদাবাদে ২০২৩ বিশ্বকাপের ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ চলাকালীন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (Pakistan Cricket Board) পাক ক্রিকেটারদের সঙ্গে আহমেদাবাদে দর্শকরা অসভ্য আচরণের অভিযোগ আনে। পিসিবির অভিযোগগুলো আলোচনার বিষয় হওয়ার একদিন পরই প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়ায় (পিটিআই) প্রকাশিত খবর অনুসারে, এই অভিযোগ আইসিসি খারিজ করে দিয়েছে। আহমেদাবাদে আনুমানিক এক লক্ষের বেশি দর্শকের ভিড়ে খুব কম সংখ্যক পাকিস্তানি সমর্থক উপস্থিত ছিলেন। পাকিস্তানি দলের পরিচালক মিকি আর্থার (Mickey Arthur) ম্যাচ শেষে আইসিসি ইভেন্টের ফিক্সচারকে দ্বিপাক্ষিক ম্যাচের সাথে তুলনা করেন। তিনি প্রশ্ন তোলেন, কেন স্টেডিয়ামে কোনও পাকিস্তানি সঙ্গীত (দিল, দিল পাকিস্তান) বাজানো হয়নি। এটি এমন একটি গান যা সব সময় আইসিসি ইভেন্টে পাকিস্তানি গেমে বাজানো হয়ে থাকে। ICC CWC 2023 Points Table: সব ম্যাচ জিতে বিশ্বকাপে দাপট কিউইদের, ভারত-বাংলাদেশের আগে জানুন সম্পূর্ণ তালিকা
তবে আইসিসির এক কর্মকর্তা সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে নিশ্চিত করেছেন, অভিযোগগুলো উপেক্ষা করা হবে। তিনি বলেন, 'আইসিসি প্রতিটি অভিযোগ অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নেয়, কিন্তু কোড ব্যক্তিবিশেষকে নিয়ে। আমি জানি না পিসিবি ঠিক কী দেখছে, তবে কোনো বাস্তব পদক্ষেপ নেওয়া খুব কঠিন হবে। বর্ণবিদ্বেষের অভিযোগ থাকলে আইসিসি হয়তো ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতে পারে, কিন্তু হাজার হাজার মানুষ যদি একটা স্লোগান দিয়ে থাকে, তাহলে আপনি কী করতে পারেন? গ্যালারি থেকে কি ছুড়ে দেওয়া কোনও 'মিসাইল (শব্দবাণ)'-এর আঘাতে কোনও খেলোয়াড় আহত হয়েছন? পক্ষপাতদুষ্ট জনতার উপস্থিতি প্রত্যাশিত। এটাই এলিট স্পোর্টসের চাপ।'
পিসিবির এই অভিযোগে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য আইসিসির বৈষম্যবিরোধী নীতির ১১ নম্বর ধারার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সেই অনুযায়ী আইসিসির অনুষ্ঠান চলাকালীন বিলবোর্ড প্রদর্শনের সাহায্যে বর্ণবাদ ও জিরো টলারেন্সের বিরুদ্ধে আইসিসি নিজের অবস্থান প্রকাশ করে। তবে এই নিয়মগুলি গ্রুপগুলি এই ক্ষেত্রে নয় পৃথক ক্ষেত্রে বেশি প্রযোজ্য হয়ে থাকে।