Harshit Rana and Team (Photo Credit: BCCI/ X)

IND vs ENG Concussion Controversy: শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) ভারত ও ইংল্যান্ডের মধ্যকার পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে কনকাশন সাবস্টিটিউট বিতর্ক নিয়ে সূর্যকুমার যাদব বা জস বাটলারকে প্রশ্ন করা হয়নি। পুনের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ডকে ১৫ রানে হারিয়ে সিরিজ জিতে নেয় ভারত। তবে খেলার দ্বিতীয় ইনিংসে শিবম দুবের (Shivam Dube) কনকাশন সাবস্টিটিউট হিসেবে ভারত হর্ষিত রানাকে (Harshit Rana) মাঠে নামানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ায় বিতর্ক শুরু হয়েছে। ইনিংসের শেষ দিকে হেলমেটে আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন দুবে। পরের ম্যাচে রমনদীপ সিংয়ের বিকল্প থাকা সত্ত্বেও দুবের পরিবর্তে হর্ষিত রানাকে খেলতে নামায় ভারত। ফাস্ট বোলার রানা ১৮১ রানের ভারতের টোটাল ডিফেন্ড করতে নেমে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নেন। যা ভারতকে খেলাটি জিততে সাহায্য করে এবং ম্যান ইন ব্লু সিরিজ জিতে যায়। কিন্তু তারপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ঘটনাকে ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়। Wriddhiman Saha: ঋদ্ধির বিদায় মঞ্চে অনুষ্টুপদের সূর্যোদয়, ইডেনে জয়সওয়ালের দুরন্ত সেঞ্চুরি

কি বলছে আইসিসির নিয়ম

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের নিয়ম অনুযায়ী, মাঠে কোনও খেলোয়াড় কনকাশন হলে তবেই কেবল পছন্দের বদলি খেলোয়াড়কে মাঠে নামানো যায়। নিয়মের ১.২.৭.৩.৪ ধারায় বলা হয়েছে, বদলি খেলোয়াড়কে অবশ্যই লাইক-ফর-লাইক রিপ্লেসমেন্ট হতে হবে। ভারতের দলের এই সিদ্ধান্ত দেখে খেলায় কমেন্ট্রি করা কেভিন পিটারসেন এবং হর্ষা ভোগলে হতবাক হয়ে যান। এই সিদ্ধান্ত যে তাঁদের ঠিক মনে হয়নি সেকথা জানিয়ে তারা বলেন যে একজন ব্যাটিং অলরাউন্ডারের পরিবর্তে একজন বিশেষজ্ঞ ফাস্ট বোলারকে খেলানো ভারতকে ম্যাচে টেকনিক্যালি ১২ জন খেলোয়াড়ের সুযোগ করে দিয়েছে। পিটারসেন কমেন্ট্রি প্যানেলে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন যে রানার বদলি পদক্ষেপটি ইংল্যান্ডকে বিচলিত করে এবং খেলার মাঝপথে প্রভাব ফেলে।

কি বলছেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক জস বাটলার

ইংল্যান্ড অধিনায়ক জস বাটলার দুঃখ প্রকাশ করেছেন যে ইংল্যান্ড শুক্রবার খেলাটি জিততে পারেনি। সিরিজ হারলেও ব্যাট ও বল হাতে আগ্রাসী মনোভাব বদলাচ্ছে না ইংল্যান্ড এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তিনি। প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়ে খেলার প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ড ছিল দুর্দান্ত। পেসার সাকিব মাহমুদ ট্রিপল উইকেট মেডেন দিয়ে শুরু করলেও সফরকারী দল তা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়। পাওয়ার প্লেতে ভারতকে ঘায়েল করার পরে, ইংল্যান্ড ভারতকে সুযোগ করে দেয় এবং এর ফলস্বরূপ আয়োজকরা ২০ ওভারে ১৮১ রান করে। হার্দিক পান্ডিয়া এবং শিবম দুবের দুটি দুর্দান্ত হাফ সেঞ্চুরি করেন। বাটলার অবশ্য ম্যাচের পরের প্রেজেন্টেশনে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন এবং জানান যে ম্যাচ রেফারির কলের সাথে তিনি একমত নন। তাঁর কথায়, 'এটা লাইক ফর রিপ্লেসমেন্ট নয়।...আমরা এর সঙ্গে একমত নই। হয় শিবম দুবে বল হাতে প্রায় ২৫ মাইল গতি রেখেছেন, অথবা হর্ষিত তার ব্যাটিংয়ে সত্যিই উন্নতি করেছেন। এটা খেলারই অংশ এবং আমাদের ম্যাচটা জেতা উচিত ছিল, কিন্তু আমরা এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত নই।'

কি বলছেন ভারতের তারকারা

ভারত অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব গত তিনটি টি-টোয়েন্টিতে যা বলেছিলেন তার থেকে আলাদা কিছু বলেননি। তিনি বলেন যে এই ভারতীয় দলে খেলোয়াড়দের তাদের খেলার স্টাইলে মন দিয়েছে। তাঁর কথায়, এটা ছিল মাঠের সবার সবচেয়ে ভালো চেষ্টা। ১০-৩ স্কোরের পর যখন দল বিপদে সেইসময় যেভাবে বাকি খেলোয়াড়রা যেভাবে সাড়া দিয়ে পজিটিভ ভাবে খেলেছে বিশেষ করে হার্দিক ও দুবে তা দারুণ। সূর্য আরও বলেন, 'আমরা নেটে যেভাবে ব্যাট করি, সেভাবেই ব্যাট এখানে করি। আমি খুব খুশি, আমি মনে করি আমরা সঠিক পথেই এগোচ্ছি। আমি সবসময় জানতাম যে পাওয়ার প্লের পরে একটা সময় আসে যখন আমরা খেলা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি।' এই বলে সূর্যকুমার যাদব শেষ করেছেন এবং তাকেও বিতর্কের বিষয়ে কিছু প্রশ্ন করা হয়নি।

এদিকে ম্যাচের পরে, হর্ষিত ব্রডকাস্টারের সাথে কথা বলেন। তিনি বিতর্কটি এড়িয়ে গিয়ে বলেন যে তার জন্য ভাল খেলা ছিল। পিটারসেনও একমত হন যে এটি রানার দোষ নয় যে তাকে অদ্ভুত পরিস্থিতিতে অভিষেক করতে বলা হয়েছে। রানা বলেন, 'অভিষেকটা এখনও আমার কাছে স্বপ্নের মতো। দুবে যখন ফিরে এলেন, দুই ওভার পর আমাকে জানানো হল যে আমি কনকাশন সাবস্টিটিউট হব। এটা শুধু এই সিরিজের জন্য নয়; আমি দীর্ঘদিন ধরে একটি সুযোগের অপেক্ষায় ছিলাম এবং আমি প্রমাণ করতে চেয়েছিলাম যে আমি এখানে আছি। আমি আইপিএলে ভাল বোলিং করেছি এবং এখানেও তাই করছিলাম।'