Temba Bavuma and Aiden Markram (Photo Credit: ICC/ X)

South Africa National Cricket Team vs Australia National Cricket Team, WTC 2025 Final: দক্ষিণ আফ্রিকা জাতীয় ক্রিকেট দল বনাম অস্ট্রেলিয়া জাতীয় ক্রিকেট দল, বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৫ (WTC 2025)-এর ফাইনাল ম্যাচে একে অপরের মুখোমুখি হয়। আজ, ১৪ জুন খেলার চতুর্থ দিনে লন্ডনের লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (Lord's, London) আয়োজিত হয় এই ম্যাচ। যেখানে প্রোটিয়ারা অস্ট্রেলিয়াকে দক্ষিণ আফ্রিকা ১৯৯৮ সালে একটি আইসিসি শিরোপা জিতেছিল। যেখানে তারা আইসিসি নকআউট ট্রফির চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল, যা বর্তমানে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নামে পরিচিত। এরপর আজ এইডেন মার্করাম (Aiden Markram)-এর অসামান্য ১৩৬ ইনিংসের সুবাদে দক্ষিণ আফ্রিকা তাদের 'চোক' হওয়ার অভিশাপ থেকে মুক্তি পেয়েছে। এর আগে ২০১৪ সালে মার্করাম যখন ফাইনালে সেঞ্চুরি করেন তখন তারা অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ। Steve Smith Injury Update: WTC ফাইনালে স্টিভ স্মিথের আঙুলে চোট, ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ নিয়ে সংশয়

২৭ বছরে প্রথম শিরোপা টেম্বা বাভুমার দক্ষিণ আফ্রিকার

আজ যখন দক্ষিণ আফ্রিকা ব্যাট করতে নামে তখন দ্বিতীয় ইনিংসে তাদের স্কোর ২ উইকেটে ২১৩ রান এবং অস্ট্রেলিয়াকে পরাজিত করতে তাদের মাত্র ৬৯ রান প্রয়োজন।গতকাল, এইডেন মার্করামের অসাধারণ ১০২ রান অপরাজিত ইনিংসটি তার চতুর্থ ইনিংসে তৃতীয় টেস্ট সেঞ্চুরি। তার অসামান্য ব্যাটিংয়ের সঙ্গে অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা (Temba Bavuma) হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট নিয়ে যুদ্ধ করে কঠিন ৬৫* রান যোগ করেন। তাদের অপরাজিত ১৪৩ রান জুটি ম্যাচের সর্বোচ্চ, প্রোটিয়াদের এখন ২৬ বছর পর তাদের প্রথম আইসিসি শিরোপার দারপ্রান্তে নিয়ে আসে।

এর আগে মেঘলা আকাশ দেখে টসে জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক। সেখানে তার সিদ্ধান্তকে ঠিক প্রমাণ করে কাগিসো রাবাডা (Kagiso Rabada)-এর পাঁচটি উইকেট অস্ট্রেলিয়াকে ২১২ রানে অলআউট করে দেয়। ম্যাচের প্রথম সেশনে কাগিসো রাবাডা সপ্তম ওভারে জোড়া উইকেট তুলে নেন। ৬.৩ ওভারে তার শিকার হন উসমান খোয়াজা যিনি ২০ বলে ০ রানে ফিরে যান। এরপর ওভারের শেষ বলে ৪ বলে ৩ রানে আউট হন ক্যামরন গ্রিন (Cameron Green)।

প্রথম ইনিংসে অজিদের ইনিংসে হাল ধরেন স্টিভ স্মিথ (Steven Smith)। ব্যাট হাতে সেরাটা দেওয়ার আগে এইডেন মার্করাম (Aiden Markram) তাঁকে আউট করে মোমেন্টাম ভাঙেন। এরপর এরপর আরেক হাফ সেঞ্চুরিয়ান বিউ ওয়েবস্টার (Beau Webster)-কে আউট করেন রাবাডা। তিনি ৯২ বলে ৭২ রান করেন ১১টি চার মেরে, তারপর একটি লুজ শট মেরে আউট হয়ে ফিরে যান।

প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকাও একদম ভালো করতে পারেনি। প্রোটিয়াদের ইনিংসের প্রথম বলেই এইডেন মার্করাম (Aiden Markram)-কে আউট করে দুর্দান্ত শুরু করেন মিচেল স্টার্ক (Mitchell Starc)। এরপর ২৩ বলে ১৬ রান করে স্টার্ক শিকার হন রায়ান রিকেলটন (Ryan Rickelton)। অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স (Pat Cummins)-এর ছয় উইকেটের সুবাদে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংস মাত্র ১৩৮ রানে শেষ হয়ে যায়। প্রথম সেশনে টেম্বা বাভুমা (Temba Bavuma)-কে আউট করার পর সবকটি উইকেট একা তুলে নিয়ে অজিদের ভালো লিড নিয়ে ম্যাচে ফিরে আসার সুযোগ করে দেন তিনি।

এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট হাতে ভালো করতে না পারলেও বল হাতে ঘুরে দাঁড়ায় দক্ষিণ আফ্রিকার বোলাররা। লুঙ্গি এনগিডির (Lungi Ngidi) অসামান্য বোলিংয়ে অজিরা ৭৩ রানে ৭ উইকেট হারায়। এরপর হাল ধরেন অ্যালেক্স ক্যারি (Alex Carey) এবং তাঁকে টেল এন্ডার হিসেবে ভালো সঙ্গ দেন মিচেল স্টার্ক (Mitchell Starc)।অস্ট্রেলিয়াকে বিপদ থেকে উদ্ধার করার পর স্টার্ক (Mitchell Starc) হাফ সেঞ্চুরি অজিদের আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে দেন। অজি এই পেসার ১৩৬ বলে ৫৮ রানে অপরাজিত থেকে খেলা শেষ করেন। স্টার্ক স্লোভাবে খেলা ধরে রেখে দলকে ২০৭ রানে নিয়ে যান। জশ হ্যাজেলউড (Josh Hazlewood)-ও ধরে খেলে ৫৩ বলে ১৭ রান করেন। লর্ডসে ইতিহাস গড়তে হলে দক্ষিণ আফ্রিকার এখন প্রয়োজন ছিল ২৮১ রান। দ্বিতীয় ইনিংসেও এক ওভারে দুই উইকেট সহ রাবাডা ৪ উইকেট নিয়েছেন।