AUS vs PAK 2nd Test Result: ব্যর্থ পাকিস্তানের লড়াই, মেলবোর্ন টেস্টের নায়ক অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্সই
Pat Cummins (Photo Credit: @MCG/ X)

শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়ার পরও ইতিহাস গড়তে ব্যর্থ হল পাকিস্তান। মির হামজা এবং শাহিন শাহ আফ্রিদির ৪টি করে উইকেট শান মাসুদের দলে প্রথমবার জয়ের আশা জাগালেও আবদুল্লাহ শাফিকের গতকাল ২০ রানে মিচেল মার্শের ক্যাচ ফেলা দেওয়ার সঙ্গেই জয়ের রাস্তা একপ্রকার বন্ধ হয়ে যায়। তবে পাকিস্তান একতরফা এই টেস্টে হারেনি তারা লড়াই চালিয়ে যায়। আজ সকালে যখন অজিরা ব্যাট করতে আসে তখন অ্যালেক্স ক্যারি বিপদে থাকা উদ্ধারে নেমে অর্ধশতক করেন। গতকালের মতো আজকেও ক্যারির গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নেন মির হামজা। এরপর অজি বোলাররা ব্যাট করতে এলে দ্রুতই তাঁদের ফেরত পাঠান আমির জামাল। এরপর ২৬২ রানে অলআউট হয়ে পাকিস্তানকে ৩১২ রানের টার্গেট দেয় অস্ট্রেলিয়া। Five Runs Off One Ball: দেখুন, বাউন্ডারি ছাড়ায় ১ বলে পাঁচ রান কামিন্সের

রান তাড়া করতে নেমে মিচেল স্টার্কের পেসে ৪ রানে ফিরে যান আবদুল্লাহ শাফিক। এরপর ওপেনার ইমাম এই ইনিংসেও কিছু করতে পারেননি এবং ১২ রানে কামিন্সের বলে এলবিডাব্লিউ হয়ে ফিরে যান। এরপর বাবর আজম এবং শান মাসুদ এসে পাকিস্তানের মনে আশা জাগান এবং ধীর স্থির ভাবে দুজনেই অর্ধশতকের দিকে এগিয়ে যান। তবে জশ হ্যাজেলউড এসে বোল্ড করে দেন বাবরকে। একই টেস্টে দ্বিতীয়বার বোল্ড আউট হলেন প্রাক্তন অধিনায়ক। শান মাসুদ অধিনায়কের মতো টিকে থাকার চেষ্টা করলেও ৬০ রানে অজি অধিনায়কের কাছে পরাস্ত হন। রিজওয়ানের ৩৫ রান গুরুত্বপূর্ণ হলেও কামিন্সের আঘাতে ফিরে যেতে বাধ্য হন। শেষ পর্যন্ত আগা সলমান অর্ধ শতক করলেও অজি বোলারদের সামনে কেউ টিকতে পারেনি। ৬৭.২ ওভারে ২৩৭ রানে অলআউট হয়ে যায় পাকিস্তান, ৭৯ রানের জয়ের নায়ক প্যাট কামিন্স দুই ইনিংসে ৫টি করে মোট ১০টি উইকেট নেন।

প্রথম ইনিংসে মহম্মদ রিজওয়ানের চেষ্টায় পাকিস্তান ২০০ রান পার করে, তবে ৪২ রানেই তাঁকে ফেরিয়ে খেলায় ফিরিয়ে আনেন অধিনায়ক প্যাট কামিন্সই। শেষ পর্যন্ত যখন আমির জামাল ৩৩ রানে অপরাজিত মাঠে দাঁড়িয়ে তখন পাকিস্তানের সংগ্রহ ২৬৪ রান। প্রথম ইনিংসে কামিন্স ৫টি উইকেট নেন, এটি তাঁর কেরিয়ারের দশম পাঁচ উইকেট রেকর্ড। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে অজি ব্যাটসম্যানদের একরকম ভয়ে রাখে পাকিস্তানের পেসাররা। প্রথম বলেই উসমান খোয়াজাকে স্লিপে আউট করে ইনিংস শুরু করেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। এরপর পরের ওভারে বল করতে এসে যখন ৪ রানে লাবুশেনকে আউট করেন তখন অজিদের স্কোর ৬ রানে ২ উইকেট। ৬ রানে যখন ওয়ার্নারকে হামজা বোল্ড করেন এবং পরের বলেই ট্রাভিস হেড কিছু বুঝে ওঠার আগেই হামজার বলে ক্লিন বোল্ড হয়ে হতভম্ব হয়ে যান। যখন মিচেল মার্শ ব্যাটিং করতে আসেন তখন স্কোর ৪ উইকেটে ১৬ রান।

দেখুন স্কোরকার্ড