Najmul Hossain Shanto: শ্রীলঙ্কার কাছে ০-১ ব্যবধানে সিরিজ হারের পর বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়কের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্ত (Najmul Hossain Shanto)। দলের 'উন্নতির' কারণেই নিজের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ান শান্ত। কলম্বোয় দুই ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে ইনিংস ও ৭৮ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। হারের পরই শান্ত তার সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা করেন। উল্লেখ্য, এর আগে শ্রীলঙ্কা টেস্ট সিরিজের আগে তাকে এক বছরের জন্য টেস্ট অধিনায়ক করা হয়েছিল। প্রথম টেস্টে গলে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টের দুই ইনিংসে সেঞ্চুরি করে ইতিহাস সৃষ্টি করেন শান্ত। তিনি প্রথম ইনিংসে ১৪৮ রান করার পর আজ (২১ জুন) দ্বিতীয় ইনিংসে ১২৫ রানে অপরাজিত থাকেন। এই কৃতিত্বের সাথে তিনি টেস্ট ম্যাচে জোড়া সেঞ্চুরি করা প্রথম বাংলাদেশী অধিনায়ক হন। দলের কাছে হারের পর সংবাদ সম্মেলনে শান্ত বলেন, 'আমি আর (অধিনায়ক হিসেবে) টেস্ট ফরম্যাটে থাকতে চাই না। এটা ব্যক্তিগত নয়। দলের ভালোর জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।' SL vs BAN 2nd Test Result: প্রভাত জয়াসুরিয়ার স্পিনে ঘুরল ভাগ্য, কলম্বো টেস্টে বাংলাদেশের বিপক্ষে ইনিংসে জয় শ্রীলঙ্কার
বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়কত্ব ছাড়লেন নাজমুল হোসেন শান্ত
🇧🇩 fans, agree with Najmul Hossain Shanto?
▶️ https://t.co/BBDdGAsb2d pic.twitter.com/1eb3Bi67z0
— ESPNcricinfo (@ESPNcricinfo) June 28, 2025
এছাড়া শান্ত উল্লেখ করেছেন যে তিনটি ভিন্ন ফরম্যাটের জন্য তিনটি ভিন্ন অধিনায়ক রাখা 'বুদ্ধিমানের কাজ নয়'। শান্ত বলেন, 'আমি মনে করি এটি দলের জন্য ভালো হবে। আমি গত কয়েক বছর ধরে ড্রেসিং রুমের একটি অংশ ছিলাম। আমি মনে করি তিনটি অধিনায়ক [তিনটি আন্তর্জাতিক ফরম্যাটের জন্য] রাখা বুদ্ধিমানের কাজ নয়। আমি জানি না বোর্ড এ সম্পর্কে কী ভাববে, এবং আমি তাদের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করব। কিন্তু এটি আমার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। আমি মনে করি, তিনটি আলাদা অধিনায়ক থাকা দলের ভালো করার জন্য কঠিন হবে।' তিনি আরও যোগ করে বলেন, 'আমি চাই যেন কেউ মনে করুক যে এই সিদ্ধান্তটি ইমোশনাল, বা আমি কিছু নিয়ে হতাশ। আমি এটা পরিষ্কার করতে চাই। এটা দলের ভালোর জন্য।'
টেস্ট ছাড়াও সম্প্রতি ব্যাটিংয়ে মন দেওয়ার জন্য টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের পদ থেকে সরে দাঁড়ান শান্ত। এরপর তাকে ওয়ানডের অধিনায়ক হিসেবেও আর রাখেনি বাংলাদেশ বোর্ড। চলতি মাসের শুরুতে তার পরিবর্তে ওয়ানডে অধিনায়ক করা হয় মেহেদী হাসান মিরাজকে (Mehidy Hasan Miraz)। শুরুতে সব ফরম্যাটেই অধিনায়কত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন শান্ত; তবে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ (Faruque Ahmed) তাকে ওয়ানডে ও টেস্ট অধিনায়কত্ব চালিয়ে যেতে রাজি করিয়েছেন বলে নানা রিপোর্ট সামনে আসে। তিনি সরে যাওয়ার পর মেহেদীকে এক বছরের জন্য ওয়ানডের অধিনায়ক পদ দিয়েছে বিসিবি।