Rishad Hossain (Photo Credit: Lahore Qalandars/ X)

Rishad Hossain, PSL 2025: বাংলাদেশের লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন (Rishad Hossain) পাকিস্তান থেকে বেরিয়ে আসার ভীতিকর অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করেছেন বাংলাদেশের মিডিয়ার কাছে। বাংলাদেশের এই তরুণ স্পিনার তাঁর প্রথম বিদেশী ফ্র্যাঞ্চাইজী টুর্নামেন্টে লাহোর কালান্দার্সের হয়ে খেলতে যান। সেখানে হঠাৎ করে পরিস্থিতির অবনতি তাকে বাকি ক্রিকেটারদের মতোই হতবাক এবং অস্থির করে দেয়। ভারত পাকিস্তানের বাড়তে থাকা উত্তেজনার কারণে পাকিস্তান সুপার লিগ (Pakistan Super League) বাতিল করে দেওয়া হলে তিনি আজ সকালে বাকি বিদেশী ক্রিকেটারদের মতোই পাকিস্তান থেকে দুবাই বিমানবন্দরে পৌঁছান। সেখানে নেমেই তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলে তার অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করেন। Daily Sun-এর রিপোর্ট অনুসারে, রিশাদ বলেন, 'দুবাইয়ে নামার পর, আমরা শুনলাম যে আমরা উড়ে যাওয়ার ২০ মিনিট পরে একটি মিসাইল রাওয়ালপিন্ডি বিমানবন্দরে আঘাত হেনেছে। খবরটি ভয়ের এবং দুঃখের। এখন দুবাই পৌঁছানোর পর সবকিছু শান্ত মনে হচ্ছে।' Cricket Australia, PSL 2025: পাকিস্তানে একটুর জন্য মিসাইল হামলার থেকে রক্ষা পেলেন অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটাররা, দাবি অজি মিডিয়ার

ফিরে আসার কঠিন অভিজ্ঞতা শোনালেন বাংলাদেশ তারকা রিশাদ হোসেন

তিনি আরও জানান যে, আসার আগে পিসিবির চেয়ারম্যানের সঙ্গে একটি মিটিং আয়োজিত হয় যেখানে খেলোয়াড়রা তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করে। সেখানে প্রায় সব বিদেশী খেলোয়াড় বলেন যে টুর্নামেন্টের বাকি অংশের জন্য একমাত্র নিরাপদ স্থান হবে দুবাই। তিনি স্বীকার করেছেন যে পিসিবি চেয়ারম্যান তাদের করাচিতে বাকি ম্যাচগুলি খেলতে রাজি করানোর চেষ্টা করেন। তবে সে সময় তাদের জানানো হয়নি যে এর আগের দিন সেখানে দুটি ড্রোন হামলা হয়েছিল। পরে যখন তারা সেটা জানতে পারে তখন তারা সবাই দুবাইতে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। পিসিবি চেয়ারম্যান তাদের নিরাপদে দুবাই পৌঁছাতে সাহায্য করেন।

করাচির হামলার কথা লুকিয়ে যান পিসিবি চেয়ারম্যান?

তিনি ক্রিকেটারদের সেইসময়ের মানসিক অবস্থার কথা কেমন ছিল সে কথা মনে করতেই টম কারানের কথা বলেন। রিশাদ বলেন, 'সে (টম) যখন বিমানবন্দরে গেল, কিন্তু শুনল যে বিমানবন্দর বন্ধ। তারপর সে ছোট বাচ্চাদের মতো কাঁদতে শুরু করে, তাকে সামলাতে দুই বা তিনজনের দরকার হয়।' তিনি আরও বলেন যে, 'বিদেশি খেলোয়াড় যেমন স্যাম বিলিংস, ড্যারেল মিচেল, কুশাল পেরেরা, ডেভিড উইস, টম কারান... তারা এত ভয়ে ছিল যে তাদের মনে হচ্ছিল পাকিস্তান ছাড়ায় এখন একমাত্র উপায় বেঁচে থাকার উপায়। দুবাইয়ে নামার পর, মিচেল আমাকে বলে যে সে আর কখনো পাকিস্তানে যাবে না, বিশেষ করে এই ধরনের পরিস্থিতিতে।'

কান্নায় ভেঙে পড়েন টম কারান