টরন্টো, ৩ অগাস্ট: বিশ্বকাপের পর খেলা ছেড়ে দেবেন এমন একটা জোর জল্পনা ছিল। দেখতে দেখতে ক্রিস গেইলের তো আর বয়সটা কম হল না। আর মাস দুয়েক পরেই গেইলের বয়স ৪০ হয়ে যাবে। তাতে কী! যে বয়সে এলে ক্রিকেটাররা কমেন্ট্রি বক্সে চলে যান, সেই বয়সে গেইল এখন টি টোয়েন্টি-তে তাঁর তাজ ধরে রাখছেন।
কানাডায় গ্লোবাল টি টোয়েন্ট টুর্নামেন্টে গেইলই মহারাজা। কানাডায় চলতি টি টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে দুটো সেঞ্চুরি করার পর 'উইনিভার্সাল বস' এবার করলেন ৪৪ বলে ৯৪ রান। এডমন্ড রয়্যালসের হয়ে খেলতে নেমে একাই কার্যত হারিয়ে দিলেন ভ্যাঙ্কুভার নাইটস দলকে। মোট ৯টি ওভার বাউন্ডারি ও ৪টি বাউন্ডারি হাঁকান গেইল। আরও পড়ুন- রাসেল মিথ্যা বলছেন! তাই নাকি
তার মধ্যে নাইট দলের পাকিস্তানের তারকা স্পিনার শাদাব খানের একটা ওভারে গেইল তো খুনে মেজাজে চলে যান। শাদব খানের সেই ওভারে গেইল নেন ৩২ রান। সেই ওভারে গেইলের রানের হিসেব ছিল এমন--৬,৬,৪,৪,৬,৬। সেই ওভারে ৪টে ওভার বাউন্ডারি আর দুটি বাউন্ডারি মারেন গেইল। দেখুন ভিডিও-তে সেই মারকুটে ওভার।
Power hitting!
6-6-4-4-6-6@henrygayle in Shadab Khan's over.
Watch here!#ERvsVK #GT2019 pic.twitter.com/kJKD8FeGCV
— GT20 Canada (@GT20Canada) August 3, 2019
এর আগের ম্যাচেই ক্যারিবিয়ান দৈত্য করেছিলেন অপরাজিত ১২২ রান। এদিন, ১৬৬ রান তাড়া করতে নেমে গেইল একাই জেতালেন বলা যায়।
এই ম্যাচটা হয়ে উঠেছিল-গেইল বনাম রাসেলের লড়াই। গেইল যেখানে ঝড় তুলে ৯৪ রান করেছিলেন, সেখানে প্রথম বলেই শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন রাসেল। অনেকেই বলছিলেন, পিচ মোটেই ব্য়াটিংয়ের জন্য আদর্শ ছিল না। নাইটদের ১৬৬ রান তাড়া করতে নেমে বিপদে পড়ে গিয়েছিল গেইলের দল। মহম্মদ হাফিজের প্রথম ওভারেই আউট হয়ে গিয়েছিলেন গেইলের দলের অপর ওপেনার তোবাইস ভাইসে। তিনে নেমে ভাল শুরু করেও আউট হয়ে যান ওল্টান। তবে বিপদের মাঝেও ঝড় তুলে অনায়াসে জিতিয়ে আনেন গেইল।