Yash Dayal: ক'দিন আগে আইপিএলে প্রথমবার চ্য়াম্পিয়ন হওয়া রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালরু দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য যশ দয়ালের বিরুদ্ধ প্রতিশ্রুতি দিয়ে যৌন শোষণের (Sexual Exploitation Case) অভিযোগ তুলে পুলিশের দ্বারস্থ হন এক উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদের এক মহিলা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে আরসিবি-র তারকা পেসার যশ দয়ালের বিরুদ্ধে এরপর এফআইআর দায়ের হয়। রিঙ্কু সিংয়ের কাছে শেষ ওভারে ৫টি ওভার বাউন্ডারি হজম করার অভিশাপ থেকে অবিশ্বাস্য কামব্যাক করে আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হওয়া যশ-কে গ্রেফতার করার সম্ভাবনা তৈরি হয়। গ্রেফতারি রুখতে আদালতের দ্বারস্থ হন যশ। সেই মামলায় এলাহাবাদ হাইকোর্ট যশ দয়ালের গ্রেফতারির ওপর স্থগিতাদেশ দিল। আদলতের বিচারপতি জানালেন, কাউকে ১ দিন, ২দিন বোকা বানিয়ে সম্পর্ক রাখা যায়। কিন্তু কারও সঙ্গে পাঁচ বছর ঠকিয়ে, বোকা বানিয়ে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক করা সম্ভব কি? অভিযোগকারিনীর দাবি, যশ দয়ালের সঙ্গে তার পাঁচ বছর ধরে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল।
২১ জুলাইয়ের মধ্যে যশ দয়ালকে গ্রেফতার করতে পারত পুলিশ
উত্তরপ্রদেশের একজন মহিলা ২৭ বছর বয়সী এই ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে মানসিক এবং শারীরিক শোষণের অভিযোগে একটি FIR দায়ের করেছেন। সেই মহিলা গত ১৪ জুন রাজ্য সরকারে মহিলাদের হেল্পলাইনে যোগাযোগ করেন, এরপর তিনি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর অনলাইন পোর্টাল (IGRS) এর মাধ্যমে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কার্যালয় ইন্দিরাপুরামের সার্কেল অফিসারকে একটি বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেয়। এখন গাজিয়বাদ পুলিশকে যশ দয়াল মামলায় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য ২১ জুলাইয়ের একটি সময়সীমা দেওয়া হয়েছিল।
যশকে স্বস্তি দিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট
The Allahabad HC To Yash Dayal pic.twitter.com/cMegVizpN7
— RVCJ Media (@RVCJ_FB) July 15, 2025
মেয়েটির অভিযোগ ও FIR-এ কী লেখা ছিল
সেই FIR -এ লেখা হয়েছে, 'গত ৫ বছর ধরে অভিযোগকারিনীর সঙ্গে যশ দয়ালেরঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁকে ভুল বুঝিয়ে মানসিক এবং শারীরিকভাবে শোষণ করেছেন।' তিনি আরও দাবি করে ছিলেন, 'সে (যশ) অভিযোগকারীকে তার পরিবারের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল এবং স্বামী হিসেবে আচরণ করে, যা তার সম্পূর্ণ বিশ্বাস অর্জন করতে সহায়তা করে।' যখন অভিযোগকারী প্রতারণা বুঝতে পারে এবং প্রতিবাদ করে, তখন সে শারীরিক নির্যাতন এবং মানসিক অত্যাচারের শিকার হয়। সম্পর্কের সময়ে, অভিযোগকারী আর্থিক এবং মানসিকভাবেও পীড়িত হন। সেখানে দাবি, 'তার চ্যাট রেকর্ড, স্ক্রিনশট, ভিডিও কল এবং ছবি প্রমাণ হিসেবে রয়েছে।'