বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড ৬৯ রানে পরাস্ত করে চমক আফগানিস্তানের। চলতি বিশ্বকাপে প্রথম অঘটনটা ঘটল দিল্লির কোটলায়। ইংল্যান্ডকে ৬৯ রানে হারিয়ে বিশ্বকাপের ইতিহাসের স্মরণীয় অঘটন ঘটালেন আফগানরা। আট বছর পর ওয়ানডে বিশ্বকাপে জয় পেল আফগানিস্তান। আফগানরা একেবারেই ফর্মে ছিলেন না। টানা ১৪টা ওয়ানডে ম্য়াচে হেরে কোণঠাসা ছিল কাবুলিওয়ালার দেশের ক্রিকেটাররা। দিল্লিতে রশিদ খান, গুরজা, নবীন উল হকরা মাতিয়ে দিলেন। চলতি বিশ্বকাপে প্রথমে পাকিস্তান, তারপর ভারত- প্রথম দুটি ম্যাচে হারের পর ইংল্যান্ডকে হারিয়ে দিল হাসমাতুল্লা শাহিদির নেতৃত্বে খেলা আফগানরা।
বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের তারকা ব্য়াটার, বোলারদের একেবারে ধরাশায়ী করে দিলেন আফগানরা। ২০১১ বিশ্বকাপে আয়ারল্যান্ড, ২০১৫ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পর এবার ২০২৩ বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের কাছে হারল ইংল্যান্ড। অন্যদিকে, ২০১৫ বিশ্বকাপে একমাত্র শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে জিতেছিলেন আফগানরা। ২০১৯ ইংল্যান্ডে আয়োজিত বিশ্বকাপে সব কটা ম্যাচে হেরেছিলেন রশিদরা। আর এবার ২০২৩ বিশ্বকাপে তাদের তৃতীয় ম্যাচে বড় অঘটন ঘটিয়ে জয় পেলেন গুরবাজ- রশিদরা।
প্রথমে ব্য়াট করে আফগানিস্থান নির্ধারিত ৫০ ওভারে করেছিল ২৮৪ রান। আফগানিস্তানের তারকা ওপেনার রহমনুল্লা গুরবাজ এদিন অবিশ্বাস্য খেললেন। মাত্র ৫৭ বলে ৮০ রান করে দুর্ভাগ্য়জনক রান আউট হন গুরবাজ। ৮টা বাউন্ডারি, ৪টে ওভার বাউন্ডারি হাঁকিয়ে নিশ্চিত সেঞ্চুরির দিকেই এগোচ্ছিলেন কেকেআর-এর তারকা উইকেটকিপার।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শক্তিশালী ব্য়াটিং লাইনআপ থাকা ইংল্যান্ড মাত্র ২১৫ রানে, ৪০.৩ ওভারে অল আউট হয়ে যায়। অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামের স্পিন সহায়ক পিচে রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই চাপে ছিলেন জোস বাটলার-রা। মাত্র ৩৩ রানের মধ্যে আউট হয়ে যান ওপেনার জনি বেয়ারস্টো (২) ও জো রুট (১১)। তারপর লড়ছিলেন ডেভিড মালান ও হ্যারি ব্রুক। মহম্মদ নবির বলে মালান (৩২) আউট হওয়ার পরই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের ব্য়াটিং লাইন আপ। ২ উইকেটে ৬৭ থেকে ৬ উইকেট পড়ে যায় ১৩৮ রানে। সেই সময়টা পরপর আউট হন অধিনায়ক বাটলার (৯ ), লিয়াম লিভিংস্টোন (১০), স্যাম কুরান (১০)। বাটলারকে দুরন্ত ডেলিভারিতে বোল্ড করেন নবীন উল হক। লিভিংস্টোের উইকেট নেন রশিদ খান। আর কুমারনকে ফেরান নবি। কিন্তু অন্যপ্রান্তে তখন ভাল লড়ছিলেন হ্যারি ব্রুক। ব্রুক (৬৬)-কে আউট করে দলের স্মরণীয় জয় নিশ্চিত করেন মুজিব।
আফগানিস্তানের এই স্মরণীয় জয়ে নায়ক কেকেআর-এর ওপেনার রহমনুল্লা গুরবাজ, রশিদ খান ও মুজিব উর রহমান। ১৬ বলে গুরুত্বপূর্ণ ২৮ রান করার পর বলে হাতে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হন মুজিব। রশিদ খান নেন তিনটি উইকেট।