গুরুগ্রাম: স্বামীর (Husband) কাছে টিভি (TV) ও মোবাইল ফোন (Mobile Phone) কিনে দেওয়ার বায়না (Demanding) করেছিল স্ত্রী (Wife)। এর জেরে স্ত্রীকে খুন করে মৃতদেহটি সুটকেসে (Suitcase) ভরে একটি ঝোপে ফেলে এসেছিল এক যুবক। কিন্তু, শেষরক্ষা হল না। তদন্ত নেমে ওই যুবককে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। পাশবিক এই ঘটনাটি ঘটেছে গুরুগ্রামে (Gurugram)।

গত সোমবার সন্ধ্যায় দিল্লি-জয়পুর (Delhi-Jaipur) এক্সপ্রেসওয়ে উপরে ইফকো চকের কাছে ঘাসের ঝোপ থেকে একটি সুটকেস উদ্ধার করে পুলিশ। সেটি খুলতেই দেখা যায়, মৃত এক মহিলার নগ্ন দেহ। যার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ক্ষতের দাগ রয়েছে। তদন্তে নেমে ওই মহিলার স্বামী রাহুলকে আটক করে লাগাতার জেরা করতে থাকে পুলিশ। বেশ কিছুক্ষণ পর পুলিশের চাপে বাধ্য হয়ে নিজের অপরাধের কথা স্বীকার করে অভিযুক্ত।

ওই যুবকের কাছ থেকে পুলিশ জানতে পারে, সে ও তার স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা গত দেড় বছর আগে প্রেম করে বিয়ে করেছিল। তারপর থেকে গুরুগ্রামের সারাউল (Sahraul) গ্রামে একটি ভাড়াবাড়িতে সংসার পেতে ছিল। সম্প্রতি কিছুদিন ধরে তার স্ত্রী কখনও টিভি তো কখনও মোবাইল কিনে দেওয়ার বায়না করত। কিন্তু, মাসে মাত্র ১২ হাজার টাকা মাইনে পাওয়া রাহুল তার শখ পূরণ করতে সমর্থ না হওয়ায় প্রায়দিনই ঝগড়া হত স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে। গত ১৬ অক্টোবর মাঝ রাতে ঝগড়া চলাকালীন রাহুল প্রিয়াঙ্কাকে গলা টিপে খুন করে। তারপর তার দেহটি একটি সুটকেসে ভরে ইফকো চকের পাশে ঘাসের জঙ্গলে ফেলে যায়। তার আগে প্রিয়াঙ্কার হাতে থাকা রাহুল নামের ট্যাটুটিও নষ্ট করার চেষ্টা করেছিল ওই যুবক। কিন্তু, সফল হয়নি। যা খানিকটা সন্দেহের সৃষ্টি করে তদন্তকারীদের মনে।

(টুইটার, ইনস্টাগ্রাম এবং ইউটিউব সহ সোশাল মিডিয়া থেকে আপনার কাছে সর্বশেষতম ব্রেকিং নিউজ, ভাইরাল ট্রেন্ডস এবং ইনফরমেশন নিয়ে আসে SocialLY। উপরের পোস্টটি ব্যবহারকারীর সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে সরাসরি এম্বেড করা হয়েছে এবং লেটেস্টলি এতে কোনও সংশোধন বা সম্পাদনা করেনি। সোশাল মিডিয়া পোস্টের মতামত এবং তথ্য লেটেস্টলি-র মতামতকে প্রতিফলিত করে না। লেটেস্টলি এর জন্য কোনও দায়বদ্ধতা বা দায় গ্রহণ করে না।)