স্বামী চিন্ময়ানন্দ(File Photo)

লখনউ, ১১ সেপ্টেম্বর: প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা স্বামী চিন্ময়ানন্দ নগ্ন মহিলাদের ভিডিও দেখেন। রীতিমতো প্রমাণ-সহ এই অভিযোগ দায়ের করলেন উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুরের ওই ল ছাত্রী। চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানোর আগে প্রমাণ জোগার করা তাঁর লক্ষ্য ছিল। তাই তিনি স্পাই ক্যাম নিয়েই বিজেপি নেতার সহ্গে দেখা করতে যান। সেই সময় নির্যাতিতা তরুণীর সামনেই নগ্ন মহিলাদের ভিডিও দেখছিলেন অভিযুক্ত নেতা। সেই দৃশ্য ক্যামেরা ব্নদি হয়। এদিন এই ধর্ষণ কাণ্ডের তদন্তকারী সিট-এর কর্তাদের হাতে সেই ভিডিও তুলে দিনেল নির্যাতিতা। তাঁর দাবি, চিন্ময়ানন্দকে বিপাকে ফেলতে পারে এমন ভিডিও তাঁর কাছে কম নেই। তবে আগে অভিুক্তকে গ্রেপ্তার করতে হবে। নির্যাতিতার গোটা পরিবারকে নিরাপত্তা দিতে হবে।

কেননা ইতিমধ্যেই চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে লাগাতার ধর্ষণ ও ব্ল্যাকমেলের অভিযোগ করার কারণে নির্যাতিতার বাবাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। খোদ সাহারনপুরের জেলা শাসক তাঁর বাবাকে হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ। ছাত্রীটির এই সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চিন্ময়ানন্দ। তাঁর আইনজীবী ওম সিংহ বলেছেন, গত ২৪ অগস্ট ফেসবুক পোস্টে যখন ওই ছাত্রী অভিযোগ করেছিলেন তখন এই সব কিছু বলেননি। এখন এই সব ভিত্তিহীন অভিযোগ করছেন। পুলিশের কাছে ছাত্রীটি অভিযোগ করেছেন, গত অক্টোবর মাসে তাঁকে ডেকে চিন্ময়ানন্দ বলেন, বাড়ি থেকে কেন যাতায়াত করবে? হস্টেলে এসে থাকো। তার পর তিনি কলেজ হস্টেলে চলে আসেন। কিন্তু এর কয়েক দিন পর আশ্রমে ডেকে তাঁকে একটি ভিডিও দেখান চিন্ময়ানন্দ। তা হল, হস্টেলের বাথরুমে ওই ছাত্রীর স্নানের ভিডিও। ছাত্রীটির অভিযোগ, এর পর চিন্ময়ানন্দ তাঁকে বলেন তাঁর সঙ্গে সহবাস করতে, তা না করলে ওই ভিডিও ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দেন। শুধু তাই নয়, তাঁকে ধর্ষণ করার সময় তা ভিডিও রেকর্ডিং করা হয় বলেও অভিযোগ করেছেন ছাত্রীটি। পুলিশের কাছে তিনি জানিয়েছেন, এ সব গত জুলাই মাস পর্যন্ত চলতে থাকে। এক টানা এই যৌন অত্যাচারে বিধ্বস্ত হয়ে তিনি অগস্ট মাসে একটি ফেসবুক ভিডিও পোস্ট করে চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে এই অভিযোগগুলি করেন এবং হস্টেল থেকে পালিয়ে যান। আরও পড়ুন-বিজেপি নেতা ১ বছর ধরে তাঁকে ধর্ষণ করেছে, থানায় গেলেন উত্তরপ্রদেশের আইনের ছাত্রী

পুলিশ জানিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের রাজনীতিতে বহুদিনের পোড় খাওয়া নেতা হলেন চিন্ময়ানন্দ। বাজপেয়ী জমানায় তিনি কেন্দ্রে মন্ত্রীও ছিলেন। উত্তরপ্রদেশে তাঁর বেশ কিছু আশ্রম ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।