Representational Image (Photo Credits: Pixabay)

অসহায় একটি কুকুরছানাকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচিয়েছিলেন চলতি বছরে, সেই কুকুরের কামড়েই প্রাণ হারালেন এক কাবাডি খেলোয়াড়। কুকুরছানাটিকে বাঁচাতে গিয়ে কুকুরটি কাবাডি খেলোয়াড়কে কামড় দেয়। কাবাডি খেলোয়াড়কে সেই সময় জলাতঙ্কের ইনজেকশন (an anti-rabies vaccine) দেওয়া হয়নি, যার কারণেই প্রাণ হারালেন তিনি। বিষয়টি তিন দিন আগের, কিন্তু রবিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর এই বিষয়টি আলোচনায় এসেছে। খুর্জার ফারানা গ্রামের বাসিন্দা রাজ্য স্তরের কাবাডি খেলোয়াড় (A state-level kabaddi player died) ব্রিজেশ সোলাঙ্কি অসহায় ভাবে জলাতঙ্ক রোগে মারা গেলেন।

জানা গেছে গত মার্চ মাসে গ্রামের ড্রেনে একটি কুকুরছানা পড়ে যায়। ব্রিজেশ তার হাত দিয়ে এটি টেনে বের করে, তারপর কুকুরছানাটি ব্রিজেশের ডান হাতের আঙুলে কামড় দেয়। ব্রিজেশ তখন এটিকে একটি সাধারণ আঘাত ভেবে তা উপেক্ষা করে এবং জলাতঙ্ক প্রতিরোধী টিকা নেয়নি।

গত ২৪ জুন (বৃহস্পতিবার) সকালে যখন ব্রিজেশ ঘুম থেকে ওঠেন, তখন তার ডান হাত অসাড় হয়ে পড়েছিল। বিকেল নাগাদ ব্রিজেশের পুরো শরীর অসাড় বোধ করতে শুরু করে। এরপর ব্রিজেশকে প্রথমে আলিগড় জেলার জীবন জ্যোতি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে জেলা হাসপাতাল বা উচ্চতর কেন্দ্রে রেফার করা হয়। তারপর মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেও, জলাতঙ্কের লক্ষণ দেখার পর, তারা তার চিকিৎসা করতে অস্বীকার করে।

এরপর পরিবারের লোকেরা ও বন্ধুরা তাকে মথুরার একটি আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে ওষুধ দেওয়ার পর, ব্রিজেশ কিছুক্ষণের জন্য সুস্থ হয়ে ওঠে। এর পরে, যখন তার স্বাস্থ্যের আবার অবনতি হয়, তখন তাকে দিল্লির জিটিবি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।যেখানে ডাক্তাররা লক্ষণের ভিত্তিতে জলাতঙ্ক রোগ নিশ্চিত করেন এবং বলেন যে চিকিৎসায় কোনও উপশম হবে না। শুক্রবার সকালে পরিবার যখন তাকে গ্রামে ফিরিয়ে আনছিল, তখন পথেই ব্রিজেশের মৃত্যু হয়। পরিবারের সকলের সামনে বেদনাদায়ক মৃত্যুতে ঢলে পড়ে  ব্রিজেশ (Brijesh Solanki)

মৃত্যুর সময়ের ভিডিও হল ভাইরালঃ

ব্রিজেশ-এর স্বর্ণপদকঃ

ব্রিজেশ ফেব্রুয়ারী মাসে রাজ্য স্তরের প্রতিযোগিতায় স্বর্ণপদক জিতেছিলেন। এর বাইরেও তিনি অন্যান্য প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং পদক জিতেছিলেন। এর পাশাপাশি, তিনি ২০২৬ সালের প্রো কাবাডি লীগে অংশগ্রহণের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।