তেলেঙ্গানার সেই পুলিশ (Photo Credit: ANI)

তেলেঙ্গানা, ২৭ ফেব্রুয়ারি: কলেজের শৌচাগারে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে বছর ১৬ কিশোরী মেয়ে। পুলিশের থেকে খবর পেয়ে কাঁদতে কাঁদতে স্কুলে ছুটে এসেছেন বাবা-মা। মেয়ের নিথর শরীর যখন কফিনে বন্দি হয়ে হাসপাতালের দিকে রওনা হচ্ছে তখন কফিনের উপরেই কান্না ভেঙে পড়েন বাবা। ঠিক সেই সময়ই ঘটল অমানবিক ঘটনা। ক্রন্দনরত বাবার পিঠে সজোরে লাথি বসিয়ে দিল কর্তব্যরত পুলিশ কনস্টেবল। শুধু লাথি নয়, প্রায় টেনে হিঁচড়ে সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হল তাঁকে। মৃতার মা কোনওরকমে আক্রমণাত্মক পুলিশের হাত থেকে স্বামীকে এসে রক্ষা করলেন। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে তেলেঙ্গানার সাঙ্গারেড্ডির ভেলিমালা এলাকার নারায়ণ রেসিডেন্সিয়াল কলেজে। এই ভিডিও ভাইরাল হতেই ওই কনস্টেবলের সমালোচনায় মুখর হয়েছেন নেটিজেনরা।

সাঙ্গারেড্ডির এসপি চন্দন দীপ্তি অবশ্য পুলিশের কাজের পক্ষে সাফাই দিয়ে বলেছেন, “ঘটনাস্থলে সাধারণ মানুষ বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল। পুলিশ কাজ করতে পারছিল না। বিক্ষোভ সামাল দিতে গিয়েই এমন ঘটনা ঘটে গিয়েছে। অভিযুক্ত পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে তদন্ত করে দেখা হবে।” এর পরেই তীব্র বিতর্ক ও সমালোচনার মুখে পড়েছে তেলঙ্গানা পুলিশ। নেট-দুনিয়ায় দাবি উঠেছে শাস্তির। চাপের মুখে পড়ে ইতিমধ্যেই ওই কনস্টেবল শ্রীধরকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। আরও পড়ুন-Prashant Kishor Booked For Cheating: ‘বাত বিহার কি’-র কনসেপ্ট চুরি করা, প্রশান্ত কিশোরের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ দায়ের

সূত্রের খবর, মঙ্গলবার তেলঙ্গানার ভেলিমালা এলাকার নারায়ণ রেসিডেন্সিয়াল কলেজের শৌচাগারে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় ১৬ বছরের এক কিশোরীর। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, আত্মঘাতী হয়েছে মেয়েটি। কিন্তু তার পরিবারের অভিযোগ, কলেজ কর্তৃপক্ষ তাদের মেয়েকে খুন করে আত্মহত্যার গল্প সাজিয়েছে। মৃতার মায়ের অভিযোগ, মেয়ের বান্ধবীদের থেকে তিনি জেনেছেন, দু’দিন ধরে খুব জ্বর ছিল মেয়ের। তার অসুস্থতা সত্ত্বেও কোনও পদক্ষেপ করেননি কলেজ কর্তৃপক্ষ। বাড়িতে খবরও দেওয়া হয়নি। এর পরেই হঠাৎ শৌচাগার থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল। অসুস্থ শরীরে ওইভাবে আত্মহত্যা করতেই পারে না তাঁদের মেয়ে। এর নেপথ্যে কোনও ষড়যন্ত্র রয়েছে।