অস্ট্রেলিয়ায় (Australia) দাবানলের প্রকোপ থেকে রক্ষা করতে বন্যপ্রাণীদের জন্য অর্থ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন ইনস্টাগ্রাম মডেল কেলেন ওয়ার্ড (Kaylen Ward)। কিন্তু তা অভিনবভাবে। যাতে শোরগোল পরে গেছে নেটদুনিয়ায়। নিজের নগ্ন ছবির বদলে অর্থ সাহায্য চাইলেন নেটিজেনদের কাছে। এই টেক্সাস মডেল ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে জানান বুশফায়ারে (Australia Bushfire) আক্রান্ত বন্যপ্রাণীদের জন্য ১ লক্ষ মার্কিন ডলার দান করবেন। তিনি তা করেনও। যার ফলে বন্ধ করে দেওয়া হয় তাঁর ইনস্টাগ্রাম (Instagram) প্রোফাইল। ইনস্টাগ্রাম থেকে জানানো হয় এটি তাদের নীতির ঊর্ধ্বে।
এই ২০ বছর বয়সী মডেল এবং অনলাইন যৌন কর্মী অস্ট্রেলিয়ার ভয়াবহ দাবানলের খবর দেখে ভাবতে বসেন তিনি কীভাবে সাহায্য করতে পারেন। হঠাৎ তাঁর মাথায় এল যদি নিজের নগ্ন ছবি বেচতে পারেন, তবে কেন এটিকে চ্যারিটির জন্য ব্যবহার করা যাবে না? এই সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার টুইট করে জানান যারা এই বন্যপ্রাণীদের সাহায্যার্থে (Donation) ১০ মার্কিন ডলার দান করবেন তাঁদের নিজস্ব মেসেজে গিয়ে নগ্ন ছবি (Nude Pictures) পাঠাবেন। আরও পড়ুন, ট্রাম্পের মাথা আনলেই পাবে ৮০ মিলিয়ন ডলার, ইরানে সেনাপ্রধানের শেষযাত্রায় কে বললেন একথা?
I’m sending nudes to every person who donates atleast $10 to any one of these fundraisers for the wildfires in Australia. Every $10 you donate = one nude picture from me to your DM. You must send me confirmation that you donated.
Please RT #AustraliaOnFire #AustraliaFires pic.twitter.com/VIgzCUy6Wf
— THE NAKED PHILANTHROPIST (@lilearthangelk) January 4, 2020
এই টুইটটি করার সঙ্গে সঙ্গে তুফানের মত কমেন্ট আসতে শুরু করে, তৎক্ষণাৎ ভাইরাল হয়ে যায়। সেই মুহূর্তে ৬০ হাজার রিটুইট হয় অন্তত হাজারখানেক কমেন্টে ভেসে যায় টুইটারের দেওয়াল। ডেইলি মেলের প্রতিবেদন অনুযায়ী, যে বিপুল পরিমান সাড়া তিনি পেয়েছেন তাতে ১ লক্ষ মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যায়। এর জন্য আস্ত একটা টিমও গঠন করেছিলেন তিনি। তাঁর দলে ছিল ৪ জন সদস্য। যারা অর্থ সাহায্য করেছে তাদের তালিকা তৈরি করবেন। সাহায্য করা অর্থ যাচাই করে সাহায্যকারীদের পাঠানো হবে ওয়ার্ডের নগ্ন ছবি।
INSTAGRAM DEACTIVED MY SECOND ACCOUNT. I don’t have an Instagram. None of these are real pic.twitter.com/YXDiGQJyAh
— THE NAKED PHILANTHROPIST (@lilearthangelk) January 5, 2020
ইনস্টাগ্রাম থেকে তাঁর প্রোফাইল বন্ধ করে দেওয়া হলেও তিনি হার মানবেন না। ভবিষ্যতে যেকোনও ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটলে তিনি এরকমই করবেন বলে জানিয়েছেন। এই ভয়াবহ দাবানলের আগুন নিভতে প্রায় মার্চ মাস পর্যন্ত সময় লাগবে বলে জানায় অস্ট্রেলিয়ার কর্তৃপক্ষ। এই অঞ্চলের কাচ্চি এখনও পর্যন্ত ২৩ জন বাসিন্দা মারা গেছে এবং ছ' জন এখনও নিখোঁজ।