সেলসের টার্গেট সত্য়ি বড় দায়। বেসরকারী ব্যাঙ্কে সেভিংস অ্যাকাউন্ট, কারেন্ট অ্যাকাউন্ট খোলা, লোন দেওয়া, বিমা বিক্রির কাজে থাকে বিস্তর লক্ষ্যমাত্রা বা টার্গেটের চাপ। প্রত্যেক সেলস পার্সেনদের জন্য থাকে সেলসের বড় টার্গেট। সেলসে টার্গেটই হল শেষ কথা। কিন্তু এই কারণে অসভ্যতা কীভাবেই বা মানা যায়। তবু সবই সহ্য করতে হয় মুখবুজে। প্রতিবাদ করলেই যেতে পারে চাকরি। আর তা হলে ইএমআইয়ের চাপ, ছেলেমেয়ের পড়াশোনার কী হবে? কীভাবেই বা চলবে পেট!

সেই সুযোগটা নিয়ে এইচডিএফসি ব্যাঙ্কের আঞ্চলিক শাখার প্রধান পুষ্পল রয় কলকাতায় তার সহকর্মীদের সেলস টার্গেট নিয়ে অসভ্যতা, অপমান করলেন। ভিডিয়ো কনফারেন্সির মাধ্যমে অন্তত জনা ১৫ জন কর্মীকে অপদস্থ, অপমান, অসভ্যতা করতে দেখা গেল সেই ব্যাঙ্ক কর্তাকে। তার অসভ্যতার পুরো ভিডিয়ো এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। পুষ্পল রায়ের অনেক কথারই তেমন যুক্তি নেই। সেলস টার্গেটটা সত্য়ি ব্যাঙ্কে বড় কথা। কিন্তু তা বলে যুক্তিহীনভাবে একতরফা চেঁচিয়ে যাওয়া শুধু পদের গরম দেখিয়ে আর চাকরী কেড়ে নেওয়ার ভয় দেখিয়ে, এ কেমন কথা? ঠিক সেটাই করলেন পুষ্পল রায়। তার অধীনে কাজ করা কর্মীদের নাম নিয়ে অপদস্থ করতে থাকলেন তিনি। বারবার দেখালেন চাকরি কেড়ে নেওয়া ভয়। কেউ কোনও কথা বললেই, তিনি চেঁচিয়ে তাকে চুপ করিয়ে গলার স্বর বাড়ালেন। আরও পড়ুন-চুল টেনে মাটিতে ফেলে মার,অনাথ আশ্রমে মেয়েদের সঙ্গে নিষ্ঠুর অত্যাচার দায়িত্বে থাকা মহিলাকর্মীর (দেখুন ভিডিও)

দেখুন ভিডিয়ো

ভিডিয়োটি ভাইরাল হয়ার পর এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক সাসপেন্ড করেন পুষ্পল রায়কে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ঘটনা নিন্দার ঝড় বয়ে এনেছে। তবে অনেকে এমনও বলছেন, সেলস বা মার্কেটিংয়ে এমন অসভ্যতা মোটেও নতুন নয়, বা ব্যতিক্রম নয়।