নয়াদিল্লি: বুলগেরিয়ার বাসিন্দা (Bulgarian) বাবা ভাঙ্গা (Baba Vanga) মারা গেছেন ১৯৯৬ সালে। কিন্তু, মৃত্যুর এত বছর পরে আজও ২০২৩ সালের প্রাক্কালে এসে সমানভাবে প্রাসঙ্গিক রয়েছেন তিনি। আসলে তাঁর করা ভবিষ্যৎ বাণীগুলি সত্যি হওয়ায় মানুষের মনে গভীর ছাপ ফেলে গেছেন বজ্রপাতের ফলে দৃষ্টিহীন হয়ে পড়া ওই ভবিষ্যত্দ্রষ্টা (mystic)। আমেরিকায় ৯/১১ (9/11 attacks in USA)-এর জঙ্গি হামলা বা রাশিয়ার পারমাণবিক ডুবোজাহাজ কুরস্ক বিস্ফোরণের ট্র্যাজেডি (Kursk submarine tragedy)। এমনকী বাবা ভাঙ্গার অনুগামীরা বিশ্বাস করেন জীবিত থাকাকালীন নিজের মৃত্যুর দিনটাও আগে থেকে বলে গেছিলেন তিনি।
২০২৩ সাল সম্পর্কেও ভয়াবহ সব ভবিষ্যৎবাণী (Baba Vanga Predictions for 2023) করে গেছেন বুলগেরিয়ার ওই নাগরিক। সেগুলি হল -
১) তাঁর কথা অনুযায়ী, আগামী বছর পৃথিবীর জন্য বড় বিপদ অপেক্ষা করছে। বিশাল বড় একটি মহাজাগতিক ঘটনার (biggest astronomical event) কারণে পৃথিবীতে (Earth) বড় বিপর্যয় নেমে আসতে পারে বলে দাবি করেছেন তিনি। এমনকী এর প্রভাবে কক্ষপথ (orbit) পরিবর্তন হতে পারে পৃথিবীর। আসতে পারে সৌর ঝড় (solar strom)। যার ফলে রেডিয়েশন লেভেল (radiation levels) বেড়ে যেতে পারে অনেকটাই।
২) ২০২৩ সালে বহুজাগতিক প্রাণী বা এলিয়েনরা (aliens) পৃথিবীতে (earth) আক্রমণ (attack) করতে পারে বলেও সতর্ক করেছিলেন তিনি। এর ফলে মৃত্যু হতে পারে লক্ষ লক্ষ (millions) মানুষের (people)।
৩) আগামী বছরে মানুষ (humans) পরীক্ষাগারে (laboratories) জন্ম (born) নেবে বলেও ভবিষ্যৎবাণী করেছিলেন বাবা ভাঙ্গা। এমনকী এখান থেকে মানুষের চরিত্র (character) ও শরীরের রং (color of the skin) নির্ধারিত করা যাবে বলেও উল্লেখ করেছিলেন। যার অর্থ জন্মগ্রহণের প্রক্রিয়াটি পুরোটাই নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।
৪) ২০২৩ সালে এশিয়ার (Asia) কোনও একটি পাওয়ার প্ল্যান্টে (power plant) বিস্ফোরণের (explosion) ফলে এই মহাদেশের আকাশ বিষাক্ত মেঘ (toxic clouds) ও কুয়াশায় (fog) ঢেকে যাবে বলেও সতর্ক করেছিলেন ওই ভবিষ্যত্দ্রষ্টা। এই পরিবর্তনের ফলে অন্য দেশগুলিতে ভয়াবহ সব রোগ ছড়িয়ে পড়বে বলেও উল্লেখ করেছিলেন।
৫) পৃথিবীর কোনও একটি শক্তিশালী দেশ জৈবিক অস্ত্র (biological weapons) পরীক্ষা (experiments) করতে গিয়ে পৃথিবীতে ধ্বংসের (destruction) কারণ তৈরি করবে বলেও সর্তক করেছিলেন। এছাড়াও তাঁর ভবিষ্যৎবাণী অনুযায়ী, এক মহাকাশচারী (an astronaut) ২০২৮ সালে শুক্রগ্রহের (Venus) মাটিতে পা দেবেন। আর পৃথিবী ধ্বংস (end of the world) হবে ৫০৭৯ সালে।