Viral: চিকিৎসকরা মস্তিষ্কের টিউমার অপারেশন করছেন, রোগিণী বাজাচ্ছেন বেহালা; ভিডিও ভাইরাল
সুরের প্রতি ভালবাসা, এক অমোঘ টান। সেই টানে যে নিজেকে একবার জড়িয়ে ফেলেছেন, তিনি তো সুরেই বাঁধবেন জীবন। এ আর নতুন কি, তাই ৫৩ বছর বয়সটাকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে অপারেশন টেবিলেই (surgery) ভায়োলিন বাজালেন ডাগমার টার্নার। তিনি একজন ম্যানেজমেন্ট কনসালট্যান্ট। মস্তিষ্কে টিউমার হয়েছে এই খবরেই মুষড়ে পড়েছিলেন। তারপর নিউরো সার্জন যখন জানালেন টিউমার অপারেশন সম্ভব। তবে পরে হয়তো তাঁর বাম হাতটি কর্মক্ষমতা হারাতে পারে। এই কথাতেই পিছিয়ে গিয়েছিলেন টার্নার। পরে ঠিক হয় অপারেশন চলাকালীন তিনি ভায়োলিন বাজাবেন। চিকিৎসকরা তাহলে বুঝতে পারবেন আদৌ তাঁর বাম হাত সচল থাকবে কি থাকবে না। সেটাই করলেন তিনি। অপারেশন থিয়েটারের টেবিলে শুয়ে রয়েছেন টার্নার। চলছে জটিল অস্ত্রোপচার।
লন্ডন, ২০ ফেব্রুয়ারি: সুরের প্রতি ভালবাসা, এক অমোঘ টান। সেই টানে যে নিজেকে একবার জড়িয়ে ফেলেছেন, তিনি তো সুরেই বাঁধবেন জীবন। এ আর নতুন কি, তাই ৫৩ বছর বয়সটাকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে অপারেশন টেবিলেই (surgery) ভায়োলিন বাজালেন ডাগমার টার্নার। তিনি একজন ম্যানেজমেন্ট কনসালট্যান্ট। মস্তিষ্কে টিউমার হয়েছে এই খবরেই মুষড়ে পড়েছিলেন। তারপর নিউরো সার্জন যখন জানালেন টিউমার অপারেশন সম্ভব। তবে পরে হয়তো তাঁর বাম হাতটি কর্মক্ষমতা হারাতে পারে। এই কথাতেই পিছিয়ে গিয়েছিলেন টার্নার। পরে ঠিক হয় অপারেশন চলাকালীন তিনি ভায়োলিন বাজাবেন। চিকিৎসকরা তাহলে বুঝতে পারবেন আদৌ তাঁর বাম হাত সচল থাকবে কি থাকবে না। সেটাই করলেন তিনি। অপারেশন থিয়েটারের টেবিলে শুয়ে রয়েছেন টার্নার। চলছে জটিল অস্ত্রোপচার।
মস্তিষ্কের টিউমার বাদ দিতে তখন হিমশিম খাচ্ছেন অভিজ্ঞ চিকিৎসকরা। সকলের চোখেমুখেই দুশ্চিন্তার ছাপ। তবে এসবে কোনও হেলদোল নেই টেবিলে শুয়ে থাকা টার্নারের মনে। তিনি তখন নিবিষ্ট মনে বেহালা বাজাচ্ছেন। সদ্যই প্রকাশ্যে এসেছে এমনই এক ভিডিও। যা দেখে তাজ্জব হয়ে গিয়েছেন সকলেই। ইউরোপের একটি হাসপাতালে ঘটেছে এমন কাণ্ড। যেখানে ব্রেন টিউমারের মতো জটিল অপারেশনের সময় ওটি টেবিলে শুয়ে বেহালা বাজিয়েছেন খোদ রোগী। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন গত ৪০ বছর ধরে বেহালা বাজাচ্ছেন ওই রোগী। এটাই তাঁর একমাত্র শখ এবং নেশা। কিন্তু মস্তিষ্কের ডানদিকে ফ্রন্টাল লোবের কাছে বাসা বেঁধেছে মারণ টিউমার। এর জেরে চিরতরে অক্ষম হয়ে যেতে পারেন এই রোগী। আর হয়তো কোনওদিন বেহালা বাজানো সম্ভব নাও হতে পারে। কারণ মস্তিষ্কের যে অংশ থেকে মানব শরীরের বাঁ-হাতের গতিবিধি নিয়ন্ত্রত হয়, তার আশেপাশেই আস্তানা বানিয়েছিল এই টিউমার। আরও পড়ুন-Nirbhaya Rape and Murder Case: জেলের দেওয়ালে মাথা ঠুকে কপাল ফাটাল নির্ভয়ার ধর্ষক খুনি বিনয় শর্মা
কিংস কলেজ হাসপাতালের নিউরোসার্জেনরা অপারেশনের দায়িত্বে ছিলেন। আর টার্নার প্রফেসর কেউমারস আশকানের তত্ত্বাবধানেই ভর্তি হয়েছিলেন সেখানে। চিকিৎসকরাও রোগিণঈর সঙ্গে তালমিলিয়ে চেষ্টা করেছেন যাতে তাঁর বেহালা বাজানোর ক্ষমতা অক্ষুণ্ণ থাকে। তাই তাঁদের পরিকল্পনা ছিল যখন খুলি খুলে অপারেশন চলবে তখন বেহালা বাজাবেন ডাগমার। তাহলে তাঁর বেহালা বাজানোর ক্ষমতা বজায় থাকছে, নাকি কোনও অসুবিধে হচ্ছে সেটা সঙ্গে সঙ্গেই বুঝতে পারবেন চিকিৎসকরা। তবে সব ভাল তার শেষ বাল যার। অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে। এমনকী বাকি জীবনটা য়ে ডাগমার টার্নার বেহালা বাজাতে পারবেন তা-ও নিশ্চিত হয়েছে।