যেকোনও খাবার যাতে খাওয়ার উপযোগী হয় তা নিশ্চিত করার জন্য প্রতি বছর পালন করা হয় বিশ্ব খাদ্য নিরাপত্তা দিবস। ৭ জুন পালিত হয় বিশ্ব খাদ্য নিরাপত্তা দিবস। খাদ্য তৈরি হওয়ার সময় থেকে আমাদের প্লেটে পৌঁছানো পর্যন্ত তার যত্ন নেওয়ার গুরুত্ব বোঝানোর জন্য পালন করা হয় এই দিনটি। খাদ্য উৎপাদন, প্রক্রিয়াকরণ, সংরক্ষণ, বিতরণের কাজ করে অনেক মানুষ। এই পুরো প্রক্রিয়ায় একটু অসাবধানতা নষ্ট করতে পারে খাদ্যের মান। এর থেকেই বোঝা যায় বিশ্ব খাদ্য নিরাপত্তা দিবস কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
২০১৬ সালে বিশ্ব খাদ্য নিরাপত্তা দিবস উদযাপনের প্রস্তাবকে সমর্থন করে এগ্রিকালচারাল ফিল্ড অফিসার (AFO), বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) খাদ্য মান কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা কোডেক্স অ্যালিমেন্টেরিয়াস কমিশন (CAC)। ২০১৭ সালে খাদ্য ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনের ৪০ তম অধিবেশনে একটি প্রস্তাব অনুমোদন করে এটিকে সমর্থন করা হয়। অবশেষে, ২০১৮ সালের ২০ ডিসেম্বর বিশ্ব খাদ্য দিবস প্রতিষ্ঠা করে জাতিসংঘ। ২০১৯ সালের ৭ জুন প্রথমবার পালন করা হয় বিশ্ব খাদ্য দিবস। বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তা রাখার প্রচেষ্টার একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হয় এই দিনটি।
বিশ্ব খাদ্য নিরাপত্তা দিবসের প্রধান উদ্দেশ্য হল খাদ্য নিরাপত্তা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং খাদ্য-বাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণে উৎসাহিত করা। নিরাপদ ও পরিষ্কার খাবার মানুষকে রোগমুক্ত রাখতে সাহায্য করে। খাদ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থায় জন্য ব্যয় হচ্ছে প্রচুর অর্থ। এছাড়া খাদ্য নিরাপত্তার মানের উপর নির্ভর করে খাদ্য পণ্যের বৈশ্বিক বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং রপ্তানি। নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন কৌশল গ্রহণে উন্নতি ঘটে কৃষিকাজেও। খাদ্য নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমস্যাগুলো সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করে দরিদ্রদের। তাই সকলের অব্যশই খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়ে সচেতন হওয়া জরুরি।