প্রতি বছর ১২ জুন সারা বিশ্বে পালন করা হয় বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার তরফে এই দিনটি পালন করার উদ্দেশ্য ছিল শিশুশ্রম বন্ধ করা। এই দিনটি পালন করার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণ হল কাজ করার পরিবর্তে শিক্ষার জন্য স্কুলে যাওয়ার বিষয়ে শিশুদের মধ্যে ইচ্ছা বাড়িয়ে তোলা। বর্তমান যুগে শিশুশ্রম একটি গুরুতর সমস্যা হয়ে উঠছে, যার কারণে নষ্ট হয়ে যায় হাজার হাজার শিশুর শৈশব জীবন এবং তাদের অধিকার। এনজিও এবং সরকারী সংস্থাগুলিকে শিশুশ্রমের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করার জন্য পালিত হয় বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস।

জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, গত দুই দশক ধরে সারা বিশ্বে শিশুশ্রম কমানোর জন্য ধারাবাহিক ভাবে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। গত কয়েক বছরে সংঘাত, সংকট এবং করোনা মহামারীর কারণে বিশ্বজুড়ে অনেক পরিবার লড়াই করছে দারিদ্রতার সঙ্গে, লক্ষ লক্ষ শিশু বাধ্য হয়েছে শিশুশ্রমের সঙ্গে যুক্ত হতে। জাতিসংঘের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রয়েছে প্রায় ১৬ কোটি শিশুশ্রমিক, যা বিশ্বের প্রতি দশজন শিশুর মধ্যে একজন।

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা শিশুশ্রম প্রতিরোধ করার জন্য ২০০২ সালে পালন করা শুরু করে 'বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস'। তথ্য অনুযায়ী, শিশুশ্রমের প্রধান কারণ দারিদ্রতা, যার কারণে শিশুরা পড়াশোনা ছেড়ে শ্রমিক জীবন বেছে নিতে বাধ্য হয়। এছাড়া বিভিন্ন অপরাধ চক্রের কারণেও অনেক শিশু শ্রমিক জীবন বেছে নিতে বাধ্য হয়। বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস পালন করার বিশেষ গুরুত্ব হল শিশুদের অধিকারের প্রতি মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা, যাতে শিশুশ্রম বন্ধ করা যায়।