হিন্দু ধর্মে কুম্ভ মেলার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। প্রতি তিন বছর অন্তর আয়োজন করা হয় কুম্ভমেলার, প্রতি ৬ বছর অন্তর আয়োজন করা হয় অর্ধ কুম্ভ মেলার এবং প্রতি ১২ বছর অন্তর আয়োজন করা হয় মহাকুম্ভের। ২০২৫ সালে প্রয়াগরাজে আয়োজন করা হবে মহাকুম্ভের। এছাড়াও হরিদ্বার, নাসিক ও উজ্জয়নে আয়োজন করা হয় কুম্ভ মেলার। ২০২৫ সালে মহাকুম্ভ শুরু হবে ১৩ জানুয়ারি। মহাকুম্ভ হিন্দু ধর্মের সবচেয়ে বড় উৎসব ও মেলা। সারা বিশ্বের লক্ষ লক্ষ ভক্ত অংশগ্রহণ করেন এই মেলায়।
২০২৫ সালের ১৩ জানুয়ারি থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আয়োজন করা হবে মহাকুম্ভ মেলার। মহাকুম্ভের রাজকীয় স্নানের ৭টি শুভ দিন রয়েছে। প্রথম দিন ১৩ জানুয়ারি, পৌষ পূর্ণিমা। দ্বিতীয় দিন ১৪ জানুয়ারি, মকর সংক্রান্তি। তৃতীয় দিন ২৯ জানুয়ারি, মৌনী অমাবস্যা। চতুর্থ দিন ০৩ ফেব্রুয়ারি, বসন্ত পঞ্চমী। পঞ্চম দিন ৪ ফেব্রুয়ারি, অচলা নবমী। ষষ্ঠ দিন ১২ ফেব্রুয়ারি, মাঘী পূর্ণিমা। সপ্তম দিন ২৬ ফেব্রুয়ারি, মহাশিবরাত্রি।
মহা কুম্ভ মেলার উৎপত্তির গল্পটি দেবতা ও অসুরদের মধ্যে সমুদ্র মন্থনের ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কিত। কিংবদন্তি অনুসারে, সমুদ্র মন্থনের সময়, অমৃত পাত্রের জন্য দেবতা ও অসুরদের মধ্যে ১২ দিন ধরে প্রচণ্ড যুদ্ধ হয় এবং এই অমৃত পাওয়ার লড়াইয়ের সময় পৃথিবীর চারটি স্থানে অমৃতের কিছু ফোঁটা পড়ে। সেই চারটি স্থান হল প্রয়াগরাজ, উজ্জয়িনী, হরিদ্বার এবং নাসিক। তাই এই স্থানগুলিকে পবিত্র বলে মনে করা হয় এবং শুধুমাত্র এই স্থানেই আয়োজন করা হয় কুম্ভ মেলার।
দেবগুরু বৃহস্পতি এবং সূর্য মকর রাশিতে থাকলে প্রয়াগরাজে আয়োজন করা হয় কুম্ভ মেলার। বৃহস্পতি ও সূর্য সিংহ রাশিতে থাকলে নাসিকে আয়োজন করা হয় কুম্ভ মেলার। বৃহস্পতি সিংহ রাশিতে এবং সূর্য মেষ রাশিতে থাকলে উজ্জয়িনীতে আয়োজন করা হয় কুম্ভ মেলার। সূর্য মেষ রাশিতে এবং বৃহস্পতি কুম্ভ রাশিতে থাকলে হরিদ্বারে আয়োজন করা হয় কুম্ভ মেলার।