জন্মাষ্টমী উপলক্ষে দেশজুড়ে দেখতে পাওয়া যায় উচ্ছ্বাস ও উদ্দীপনা। গোটা দেশের মধ্যে মথুরা-বৃন্দাবনের জন্মাষ্টমী বিশেষ, কিন্তু দেশে এমন একটি স্থান রয়েছে যেখানে ভগবান কৃষ্ণকে দেওয়া হয় ২১ বন্দুকের স্যালুট। জন্মাষ্টমীতে সারাদিন উপবাস পালন করার পর রাত ১২টায় কানহার পুজো ও আরতির পর উপবাস ভঙ্গ করা হয়। দেশের সব জায়গায় প্রায় একই ভাবে করা হয় জন্মাষ্টমীর পুজো, তবে এমন একটি জায়গা রয়েছে যেখানে পুজোর সঙ্গে ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে দেওয়া হয় ২১ বার কামান বা বন্দুকের স্যালুট।

রাজস্থানের সংস্কৃতি এবং খাবার সবাইকে আকর্ষণ করে। ভৌগোলিক গঠন ছাড়াও রাজস্থান তার সমৃদ্ধ ইতিহাসের জন্যও পরিচিত। এখানে রয়েছে রাজাদের নির্মিত প্রাচীন দুর্গ, যা দেখার জন্য দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ আসে, তাই পর্যটনের দিক থেকে পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু রাজস্থান। এখানে একটি মন্দির রয়েছে যেখানে ভগবান কৃষ্ণকে দেওয়া হয় ২১ বন্দুকের স্যালুট। কৃষ্ণ জন্মোৎসব উপলক্ষে রাজস্থানের নাথদ্বারার শ্রীনাথ মন্দিরে রাত ১২ টায় ভগবান কৃষ্ণকে দেওয়া হয় ২১ বন্দুকের স্যালুট।

নাথদ্বারার শ্রীনাথ মন্দিরে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বিরাজ করেন শিশু রূপে এবং এই মন্দিরে জন্মাষ্টমীর অনুষ্ঠান শুরু হয় খুব ভোরে। তবে রাত ১১:৩০ মিনিটের দিকে ৩০ মিনিটের জন্য বন্ধ থাকে এই মন্দির। তারপর রাত ১২ টায় মন্দিরের দরজা খুলে বন্দুকের স্যালুট দেওয়ার পর বাজানো হয় ব্যান্ড ও ঢোল। নাথদ্বারার এই কৃষ্ণ মন্দিরটি আরাবল্লী পর্বতমালা এবং বনস নদীর তীরে অবস্থিত। এই মন্দিরের আশেপাশের প্রকৃতির দৃশ্যগুলি মুগ্ধ করে সকলকে। শ্রীনাথ মন্দিরের ইতিহাস অনেক পুরনো। কথিত আছে, বহু প্রজন্ম ধরে চলে আসছে বন্দুকের স্যালুট দেওয়ার প্রথা।