সহিংসতা, বিক্ষোভ ও নৈরাজ্যের কারণে বর্তমানে বাংলাদেশের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল। শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ ত্যাগ করে দেশ ছাড়ার পর থেকে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছে বাংলাদেশের পরিস্থিতি। সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় ও ঐতিহাসিক ঐতিহ্যসমৃদ্ধ দেশ বাংলাদেশ। ইতিহাসে পাল এবং সেন রাজবংশের মতো হিন্দু শাসকদের দ্বারা শাসিত হয়েছিল বাংলাদেশ, তারা অনেক হিন্দু মন্দির নির্মাণ করেছিলেন এই দেশে। এই দেশের সমস্ত মন্দিরেরই রয়েছে এক অনন্য গল্প ও ইতিহাস। চলুন জেনে নেওয়া যাক বাংলাদেশের কিছু বিখ্যাত হিন্দু মন্দির সম্পর্কে।

ঢাকেশ্বরী মন্দির

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত ঢাকেশ্বরী মন্দির। ১২ শতকে সেন রাজবংশে রাজা বলল তৈরি করেছিলেন ঢাকেশ্বরী মন্দির। ১৯৯৬ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে ঢাকেশ্বরী মন্দির জাতীয় মন্দির হিসেবে পরিচিত পায়। দেবী দুর্গার দেবী ঢাকেশ্বরী রূপের পুজো করা হয় এই মন্দিরে। প্রতি বছর এই মন্দিরে ধুমধাম করে পালন করা হয় দুর্গা পুজো।

যশোরেশ্বরী মন্দির

বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলায় অবস্থিত যশোরেশ্বরী মন্দিরে পুজো করা হয় মা কালীর। খুব ধুমধাম কালী পুজো ও দীপাবলি উৎসব পালন করা হয় এই মন্দিরে।

কান্তজি মন্দির 

বাংলাদেশের দিনাজপুর শহর থেকে মাত্র ১২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত কান্তজি বা কান্তনগর মন্দির। কথিত রয়েছে, ১৮ শতকের শেষের দিকে দিনাজপুরের মহারাজা প্রাণনাথের আমলে নির্মিত হয়েছিল কান্তজি মন্দির। এই মন্দির তার চমৎকার স্থাপত্য শিল্পের জন্য পরিচিত। এই মন্দিরে পুজো করা হয় ভগবান কৃষ্ণ ও রুক্মিণীর। দুর্ভাগ্যবশত ১৮৯৭ সালের ভূমিকম্পে ধ্বংস হয়ে যায় এই মন্দিরের স্পিয়ারগুলি। তবে এই মন্দিরে উপস্থিত টেরাকোটা শিল্প মহাভারত এবং রামায়ণের মতো হিন্দু পুরাণের দৃশ্যগুলিকে চিত্রিত করে।