২৯ জুন থেকে শুরু হয়েছে অমরনাথ যাত্রা। হাজার হাজার ভক্ত যাচ্ছেন অমরনাথের দর্শনে। কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে বুধবার ৪৬২৭ জন তীর্থযাত্রীর আরেকটি দল রওনা হয়েছে অমরনাথের দর্শনে। শ্রী অমরনাথজি শ্রাইন বোর্ডের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, "জম্মুর ভগবতী নগর যাত্রী নিবাস থেকে দুটি নিরাপত্তা কনভয়ে উপত্যকায় রওনা হয়েছে ৪৬২৭ জন তীর্থযাত্রীর আরেকটি দল। ৯০টি গাড়িতে ১৮৫৪ জন তীর্থযাত্রীর প্রথম কনভয়টি সকাল ০৩:০৭ মিনিটে উত্তর কাশ্মীরের বালতাল বেস ক্যাম্পের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে। দ্বিতীয় কনভয়টি সকাল ০৩:৩৩ মিনিটে ৯৫টি গাড়িতে ২৭৭৩ জন তীর্থযাত্রী নিয়ে দক্ষিণ কাশ্মীরের নুনওয়ান (পহেলগাম) বেস ক্যাম্পের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে।
জম্মু বিভাগের কাঠুয়া জেলায় সোমবারের সন্ত্রাসী হামলার পর, জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় মহাসড়কে নিরাপত্তা জোরদার করেছে কর্তৃপক্ষ। এই নিরাপত্তাবাহিনী যাত্রীদের কাশ্মীরে পৌঁছানোর কাজ করছে। আবহাওয়া অধিদফতর উভয় ভ্রমণ রুটে আংশিক মেঘলা আকাশ এবং হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে। গুহা মন্দিরে পৌঁছানোর জন্য ৪৮ কিলোমিটার দীর্ঘ পহেলগাম পথ বা ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ বালতাল পথ ব্যবহার করে তীর্থযাত্রীরা। পহেলগাম রুট ব্যবহার করলে গুহা মন্দিরে পৌঁছতে সময় লাগে ৪ দিন এবং বালতাল রুট ব্যবহার করলে দর্শনের পর একই দিনে বেস ক্যাম্পে ফিরে আসা সম্ভব।
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩৮৮০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত অমরনাথ গুহা। বিশ্বজুড়ে লক্ষ লক্ষ ভক্ত ভগবান শিবের আবাস দেখার জন্য ছুঁটে আসে অমরনাথের গুহা মন্দিরে। ২০২৪ সালে আনুমানিক ৩০০ কিলোমিটার দীর্ঘ জম্মু-শ্রীনগর হাইওয়েতে তৈরি করা হয়েছে দুটি বেস ক্যাম্প এবং গুহা মন্দিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে আরও কঠোর। নির্বিঘ্ন এবং দুর্ঘটনামুক্ত যাত্রা হওয়ার জন্য নেওয়া হয়েছে এই ব্যবস্থা। উভয় রুটে ১০০টিরও বেশি 'ল্যাঙ্গার' তৈরি করা হয়েছে। যাত্রীদের সেবা করছেন ৭ হাজারের বেশি 'সেবাদার'। যাত্রীদের ভিড় নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে অতিরিক্ত ট্রেন। উভয় রুটে যাত্রীদের জন্য রয়েছে হেলিকপ্টার পরিষেবাও। ২০২৪ সালের অমরনাথ যাত্রা শেষ হবে ১৯ আগস্ট।