Credit: Flickr

গরমে হজমের সমস্যা বেশি দেখা দেয়। ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাস দ্বারা দূষিত খাদ্য সেবনের ফলে খাদ্য বিষক্রিয়ার মতো সমস্যাও হতে পারে গরমে। এছাড়া গ্রীষ্মকালে শরীরে জলের ঘাটতি দেখতে পাওয়া যায়, যার কারণে খাবার হজমের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এই অবস্থায় বৃদ্ধি পেতে পারে বদ হজম, গ্যাস এবং পেট ফাঁপার মতো সমস্যা। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, গ্রীষ্মকালে খাদ্যাভ্যাসের ব্যাপারে বিশেষভাবে সতর্ক হওয়া উচিত। এই সময়ে অতিরিক্ত তেল, মশলা যুক্ত খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলা খুবই জরুরি।

বিশেষজ্ঞদের মতে, পেটে ব্যথা এবং পেট ফাঁপার সমস্যার সবচেয়ে সাধারণ কারণ হল অন্ত্রে অতিরিক্ত গ্যাস তৈরি হওয়া। প্রায়ই খাওয়ার পরে পেট ফাঁপার সমস্যা অনুভব হলে অবশ্যই এটি হজমের সমস্যার লক্ষণ। তাই সবার প্রথমে খাদ্যতালিকায় পরিবর্তন করা জরুরি। গরমের সময়ে হজম করা কঠিন হয়ে যায় বিন, মটরশুটি, ছোলার মতো খাবার। তাই এই ধরনের জিনিস যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলা উচিত। এগুলি হজম করা কঠিন হওয়ার পাশাপাশি এগুলি গ্যাস উৎপাদনকারী খাবার। সাধারণত ডাল এবং মটরশুটি প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার, তবে এগুলো হজম করতে অসুবিধা হওয়ার কারণে গ্যাস তৈরি হতে শুরু করে, যার ফলে পেট ফাঁপার সমস্যা দেখা দেয়।

ব্রকলি গ্রীষ্মকালে সীমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত, কারণ এর মধ্যে রাফিনোজ নামে একটি চিনি থাকে যা হজম করা কঠিন। অতিরিক্ত ব্রকলি খাওয়ার ফলে গ্যাস ও পেট ফাঁপা হওয়ার মতো সমস্যা হতে পারে। রাতে ব্রকলি খেলেও বদহজম হতে পারে, যার কারণে রাতের ঘুম ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। রসুনে অনেক ধরনের পুষ্টিগুণ থাকার জন্য এটিকে বলা হয় সুপারফুড। তবে রসুনে ফ্রুকটান নামক যৌগও রয়েছে যা গ্যাস সৃষ্টি করতে পারে। একই রকম ভাবে পেঁয়াজেও ফ্রুকটান থাকে, যা গ্যাস এবং পেট ফাঁপার সমস্যা তৈরি করতে পারে। তাই রাতের খাবারে পেঁয়াজ ও রসুন খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত।