কলকাতা, ৬ সেপ্টেম্বর: Durga Puja 2019 Pandal Hopping Fashion: দুর্গা পুজার বাকি আর মাত্র ২৮ দিন। শিউলি ফুলের গন্ধ এলো বলে। শপিং মল থেকে বুটিক সব জায়গায় ভিড়ে ঠাসাঠাসি। চলছে জমিয়ে পুজো সেল। কী কিনবেন আর কী কিনবেন না এই নিয়ে ভাবনা চিন্তা নিশ্চয় শুরু হয়ে গেছে। পঞ্চমী থেকে দশমী কবে কী পরুন তা নিয়ে হয়রান হচ্ছেননা তো? হলেও চিন্তা নেই, পুজোয় এবছরের ফ্যাশন কী, কোনটা ইন, কোনটা আউট, সব জেনে নিন।
ঢাকে কাঠি পড়ার আগে শেষ করে ফেলতেই হবে পুজোর শপিং। ট্রাডিশনাল, ওয়েস্টার্ন কোনটাকেই নিশ্চয় বাদ দেবেন না। তবে জানা যাক কোন ফ্যাশন এবার পুজোয় আপনাকে করে তুলবে আরো আকর্ষণীয়-
আরও পড়ুন, প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার পোশাক ফের ঝড় তুলল, নিউ ইয়র্কে 'পিগি চপস'-র ফ্যাশান চোখ ঝলসে দিচ্ছে
১. চলতি বছরে মহিলাদের ফ্যাশান ট্রেন্ড ক্রপ টপ আর হাই ওয়েস্ট জিন্স। হাই ওয়েস্ট জিন্স সহজেই পরা যায়। সঙ্গে পরুন স্টিলেটো। কিন্তু প্যান্ডেল হপিং করলে এসব জুতো নৈব নৈব চ। স্নিকারর্স রাখুন আপনার কালেকশনে।
২. রিপড জিন্সও অনেকদিন ধরেই ইন ফ্যাশানে। তার সঙ্গে টিম আপ করুন অফ শোল্ডার টপ বা ক্রপ টপ।
৩. তাছাড়া জিন্সের দুইপাশে ট্র্যাকসুটের মতো স্ট্রাইপসও এখন বেশ ট্রেন্ডি। একটা স্পোর্টস লুক দেয়। এর সঙ্গে ফাঙ্কি টপ নিতে পারেন।
৪. ওয়ান পিস্ তো সর্বকালের হিট। কালো বা সাদা রঙের ওয়ান পিস্ সব থেকে বেশি নজর কাড়ে। ফ্লোরাল প্রিন্টও কিনতে পারেন। সঙ্গে প্লে- ফুল লুক দিতে পরে নিতে পারেন স্নিকার্স।
৫. ব্যাগি টিজ, বা ওভারসাইজড টি এখন বেশ জনপ্রিয়। আমাদের এই গরমের জন্য আরামদায়কও বটে। ফুল স্লিভ বা হাফ স্লিভের দু-এক সাইজের বড় টি কিনতেই পারেন।
৬. ডাঙরিও রাখতে পারেন আপনার লিস্টে। খুবই আরামদায়ক। আর প্যান্ডেল হপিংয়ের জন্য একদম সেরা। ডাংরির নিচে পরুন কোনো ফাঙ্কি টি।
৭. আর ট্রাডিশনাল কিছু পড়তে হলে অবশ্যই বেছে নিন হ্যান্ডলুম শাড়ি। এর সঙ্গে এখন প্রাধান্য পাচ্ছে ব্লাউজ। ব্লাউজের পিছনে থাকবে ত্রিশুল আঁকা, কিংবা দুর্গার মুখ। কিংবা কলকাতার টানা রিকশা বা লেখা। এই বছরে সব থেকে নজর করছে এই ধরণের ব্লাউজ।
৮. এক্সেসরিজে অবশ্যই রাখবেন জাঙ্ক জুয়েলারি। এসপ্লানেডে বা হাতিবাগান, গড়িয়াহাট ঘুড়লেই পেয়ে যাবেন আপনার পছন্দের জাঙ্ক জুয়েলারি।
তবে আর দেরি না করে ব্যাগ ভর্তি করে কিনে নিন আপনার পছন্দের জামা । নিজেকে সাজিয়ে তুলুন। এই পাচঁটা দিন নিজেকে আলাদা দেখানোর জন্য কিন্তু মেনে চলতেই হবে এই টিপসগুলি। আর খাওয়াদাওয়া সেটা পুজোর আগে একটু নিয়ন্ত্রণ না করলে নয়। তবে পুজোর পাঁচদিন কিন্তু জমিয়ে খেতে হবে।