২০২৩ সাল শেষ হতে বাকি আর মাত্র তিন মাস। তবে বছর শেষের আগে উৎসবের আনন্দে মেতে উঠতে তৈরি বাঙালি। মহালয়া থেকেই সেই উৎসবের শুরু। তারই মধ্যে ২০২৩ সালের দ্বিতীয় সূর্যগ্রহণটি পড়েছে মহালয়ার দিনে। সেদিন দিকে দিকে নদীতে পিতৃতর্পণ চলবে। আর এমন দিনেই পড়েছে সূর্যগ্রহণ।এই নিয়ে যেমন জ্যোতিষমতে আলোচনা, তখন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা অধীর অপেক্ষায় রয়েছেন এই গ্রহণের নানান দিক গবেষণা ঘিরে।
সূর্যগ্রহণের বৈশিষ্ট্যঃ-
আশ্বিনের অমাবস্যাকে অনেকেই সর্বপিতৃ অমাবস্যা বলে আখ্যা দেন। এমন দিনে গ্রহণ পড়ায়, ভারতে তার প্রভাব জ্য়োতিষমতে নেই বলে জানা যাচ্ছে। মহালয়ার দিন ১৪ অক্টোবর রাত ৮.৩৪ মিনিট থেকে এই গ্রহণ শুরু হবে। আর তা মধ্য রাত্রি ২.২৫ মিনিটে শেষ হবে। এই ধরনের গ্রহণকে কঙ্কনাকৃতি সূর্যগ্রহণ বলা হয়। অক্টোবরের এই গ্রহণ মূলত বলয়গ্রাস। আর তারফলেই এমন দিনে আকাশে সূর্যকে কঙ্কণ বা চুড়ির আকারে দেখতে লাগবে। তার কারণেই এই নামকরণ।
কোন কোন দেশে সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে?
যেহেতু মাঝরাতে গ্রহণ তাই স্বাভাবিকভাবেই ভারতে এই গ্রহণ দেখা যাবে না। তবে দক্ষিণ আমেরিকার ব্রাজিল, বাহামাজ, ডমিনিকায় এই গ্রহণ দেখা যাবে। দেখা যাবে আমেরিকা, কানাডা, ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ড, মেক্সিকো, গুয়েতেমালা, আর্জেন্টিনা, কিউবা পেরু, উরুগুয়ে ইত্যাদি দেশে।
কোন রাশি ও নক্ষত্রে সূর্য গ্রহণ?
এই সূর্য গ্রহণ কন্যা রাশি ও চিত্রা নক্ষত্রে লাগবে। তাই এই রাশি ও নক্ষত্রের জাতকদের জীবনে এর নেতিবাচক প্রভাব পরিলক্ষিত হবে। জ্যোতিষ অনুযায়ী এই জাতকরা শরীরে শক্তির অভাব অনুভব করবেন। বিশেষত কন্যা রাশির জাতক-জাতিকাদের চোখের সমস্যা হতে পারে। জ্বর, অ্যালার্জির সমস্য়াও আপনাকে কষ্ট দিতে পারে।