'তুমি রবে নীরবে
নিবিড়, নিভৃত,
পূর্ণিমা নিশীথিনী-সম
তুমি রবে নীরবে।।'
বাঙালির জীবনে ওতোপ্রতোভাবে জড়িয়ে রয়েছেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। বাংলা ক্যালেন্ডারে ২৫ শে বৈশাখ মানেই পুজো পুজো আমেজ বাংলা জুড়ে। রবি ঠাকুরের নাচে-গানে-কবিতায় বাঙালি পালন করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন। ১৮৬১ সালের ৭ মে কলকাতার জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। বাংলা সাহিত্য সংস্কৃতি রবি ঠাকুরকে ছাড়া অপূর্ণ। রবি ঠাকুর জীবনে মোট ২,২৩২টি গান লিখেছেন, সুর দিয়েছেন এবং নিজে গেয়েছেন। তাঁর গানের কথায়, উপনিষদ, সংস্কৃত সাহিত্য, বৈষ্ণব সাহিত্য ও বাউল দর্শনের প্রভাব রয়েছে সুস্পষ্ট। অন্যদিকে, তাঁর গানের সুরে ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের ছোঁয়া রয়েছে। এছাড়া ধ্রুপদ, খেয়াল, ঠুমরি, টপ্পা-সহ বাংলার লোকসঙ্গীত, কীর্তন, রামপ্রসাদী, পাশ্চাত্য ধ্রুপদি সংগীত ও পাশ্চাত্য লোকগীতির প্রভাব লক্ষ্য করা যায় রবি ঠাকুরের লেখনীতে।
২৫ শে বৈশাখ
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের
শুভ জন্মদিন
'সার্থক জনম আমার জন্মেছি এই দেশে
সার্থক জনম মা গো, তোমায় ভালোবেসে।।'
'হে নূতন,
দেখা দিক
আর-বার জন্মের
প্রথম শুভক্ষণ।।'
'তুমি রবে নীরবে
নিবিড়, নিভৃত,
পূর্ণিমা নিশীথিনী-সম
তুমি রবে নীরবে।।'
'মনে রবে কি না রবে আমারে সে
আমার মনে নাই ।
ক্ষণে ক্ষণে আসি তব দুয়ারে,
অকারণে গান গাই।।'
'ওরে নতুন যুগের ভোরে
দিসনে সময় কাটিয়ে বৃথা
সময় বিচার করে ।
চলায় চলায় জাগবে জয়ের ভেরী
পায়ের বেগে পথ কেটে যায়
করিস না আর দেরী।।'
'ভেঙে মোর ঘরের চাবি
নিয়ে যাবি কে আমারে
ও বন্ধু আমার।।'
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে শ্রদ্ধাঞ্জলি
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কেবল গীতিকার বা সুরকার নন, তিনি ছিলেন সংগীতস্রষ্টা। ‘গগনের থালে রবি চন্দ্র দীপক জ্বলে’ গানটিই সম্ভবত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রথম রচনা। মাত্র ১১ বছর বয়সে এই গানটি লিখেছিলেন তিনি। এরপর প্রায় ৭০ বছর ধরে নিয়মিত গান রচনা করেছিলেন তিনি। সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর, সুকুমার রায়, হেমলতা দেবীর রচিত বেশ কয়েকটি গানে নিজে সুরও দিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।